নতুন বই হাতে নববর্ষে আনন্দ উল্লাসিত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ৭:৪৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০১৮

জুড়ী, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : “পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই” এমনই প্রবাদ বাক্যের বাস্হবসত্য দৃশ্যে ফুটে উঠেছে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সবকটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় আঙ্গিনায়। নতুন বছরের প্রথম দিনের প্রথম প্রহরেই নতুন ক্লাসের (শ্রেণীর) নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। নতুন পাঠ্যবই হাতে পাওয়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা বই খুলে কবিতা ও গল্প পড়ছে, একটার পর একটা বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টেপাল্টে দেখতে ও পড়তে ব্যস্ততার চিত্র ফুটে উঠেছে তাদের মধ্যে। চোখে ও মুখে তৃপ্তির হাসি। শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের প্রথম প্রহরে বই হাতে দেখে মনে হচ্ছে “ক্ষনিকের জন্য তাদের হাতে বই তুলে দেয়া হয়েছে, আবার তাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে”। কিন্তু বাস্তবতা হলো নতুন বছরের নতুন দিনে বইগুলো পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। নতুন বইয়ের সাথে পাল্টেছে নতুন শ্রেণী কক্ষও। তাইতো তাদের মধ্যে এতো তাড়াহুড়া। আজ সকালে বই বিতরনী অনুষ্ঠানে উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাতেমা জান্নাত নাইমা নতুন বই হাতে তার অনুভুতি জানতে চাইলে এ প্রতিবেদককে বলেন, বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই পেয়ে আমরা অনেক অনেক আনন্দিত। “আগামী দিন থেকে নতুন বইয়ের সাথে নতুন ক্লাসে পড়তে আসব। আমরা এজন্য আমাদের মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। আল্লাহ্পাক শেখ হাসিনার নেক হায়াত দান করুন”। অপরদিকে বছরের পহেলা দিনে নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে তুলে দিতে পেরে সীমাহীন আনন্দ লক্ষ্য করা গেছে শিক্ষকদেরও। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত পাঠ্যবই হাতে পাওয়ায় এ বছরে যথা সময়ে পাঠদান শুরু করতে পারবেন শিক্ষকরা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম শহিদুল ইসলাম জানান, এবারে যথেষ্ট পরিমাণে বই এসেছে। সময়মত বিদ্যালয়গুলোতে বই পৌঁছিয়ে দেয়া হয়েছে। বছরে প্রথম দিনেই (আজ) সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..