সিলেট ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৩৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : গোয়াইনঘাটের জাফলং এলাকায় অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এখন জিরো থেকে কোটিপতি । এমনটি তথ্য বেরিয়ে এসেছে গোয়াইনঘাট থানার ওসি দেলোয়ার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিৎ পাল’র অনিয়ম দুর্নীতির একাধিক সংবাদ প্রকাশের পর ।
জানা যায়,দীর্ঘ দু’বছরের বেশি সময় ধরে গোয়াইনঘাট থানায় ওসি দেলোয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছেন । সেই সূযোগে ওসি নিজেই জাফলং এলাকায় বেশ ক’জন প্রভাবশালী ব্যক্তি নিয়ে গড়ে তোলেন লাঠিয়াল বাহিনী । যাতে করে জাফলং এলাকার যে কয়েকটি পাথর কোয়ারি রয়েছে সেগুলো স্বাধীনমত ভোগ করতে পারেন । তৎকালীন সময়ে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন (সাবেক এসপি) নূরে আলম মিনা । সেই এসপি’র আর্শিবাদপুষ্ঠ একজন ঘনিষ্ট লোক হলেন ওসি দেলোয়ার । তখন সেই এসপি’কে ওসি মাসোহারা বড় অংকের চাদা দিয়ে কৌশলে পুলিশের টোকেনে একজন ভাল অফিসার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন । তারপর থেকে ওসি’র মূল বাণিজ্য হয়ে ওঠে জাফলং পাথর কোয়ারি,মাদক, জুয়ার আসর,সীমান্তবর্তী চোরাকারবারী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীসহ মামলা মোকাদ্দমা থেকে প্রতিদিন লাখ,লাখ টাকা চাদা বাণিজ্য । পরে লাখ থেকে কোটিপতির ধান্ধায় ওসি তার সিন্ডিকেট গ্রুপকে আরো বড় আকারে ডালাওভাবে সাজিয়ে দেন জাফলং এলাকার প্রতিটি ক্রাইম জোনে । শুরু হয় তাদের অবৈধ টাকা উর্পাজনের মহোৎসব । অল্পদিনেই ওসি এবং তার পেছনে মদদ দাতারা এখন জিরো থেকে কোটিপতি আবার কেউ কেউ লাখোপতি । এককথায় সিন্ডিকেট গ্রুপকে সক্রিয় রেখে ওসি দেলোয়ার এখন কোটিপতি !
এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়,ওসি দেলোয়ার দীর্ঘ দু’বছরের বেশি সময় ধরে ওই থানায় দায়িত্ব পালনের জন্য শাসকদলীয় শীর্ষস্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পকেটবুক করে রেখেছেন । ওই সূত্র জানায়-ওসি দেলোয়ার প্রতিমাসে অন্তত একবার হলেও ঢাকা হেডকোয়ার্টার পুলিশ অফিস কার্য্যালয়ে দৌড়ঝাপ দেন । এবং সেখানে দু’একজন উচ্চপদ’স্থ পুলিশ কর্তার সাথে সাক্ষাৎ করে একটি হাদিয়ার ভান্ডিল দিয়ে আসেন । পরবর্তীতে তিনি দেখা করতে যান ওই শাসকদলীয় নেতার সঙ্গে । সেখানে গিয়েও সেই নেতার হাতে ধরিয়ে দেন হাদিয়া’র ভান্ডিল ! কে থাকে বদলি করে ? উল্টো তিনি হাতিয়ে নিলেন শ্রেষ্ঠ ওসি’ হওয়ার ক্রেষ্ট ? ‘চাকুরির আড়ালে চলছে চাদা বাণিজ্য আর চাদা’র ভাগবাটোয়ারায় চলছে আইজিপি ক্রেষ্ট গ্রহণ।’ অথচ এরকম ওসি’র কারনে গোঠা পুলিশে দুর্নাম বয়ে আনছে সেদিকে নজর নেই পুলিশের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের । যদি একটু লক্ষ্য করে এসকল অফিসারদের বা তার সঙ্গিয় সিন্ডিকেট গ্রুপ’র পেছনে গোয়েন্দা সংস্থার লোক দিয়ে কাটি নাড়ানো হয় বা উচ্চতর তদন্ত করা হয় তাহলে অচিরেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল । যেমনটি বেরিয়ে এসেছে অপ্রতুল সম্পদের হিসাব সিলেটের সাবেক ডিআইজ মিজানের । যদি হিসেব করা হয় গোয়াইনঘাটে ওসি দেলোয়ার যোগদানের পর থেকে এই পর্য্যন্ত কতটি খুন,রাহাজানি আর সাজানো কতটি মামলা দায়ের করা হয়েছে তাও বেরিয়ে আসবে সহজে । এমনকি সে পুলিশে চাকুরীর পর কিভাবে অর্থ সম্পদ তৈরী করেছে তাও মিলবে সূষ্ট তদন্তেরপর । অভিযোগ রয়েছে ওই ওসি গোয়াইনঘাটে বিশাল তবিয়তে থাকতে জাফলং এলাকার ওই সিন্ডিকেটগ্রুপও তার পেছনে বড় অংকের অর্থ ব্যয় করে থাকেন । যদি ওসি’র ব্যক্তিগত মুটোয়ফোন ও সরকারী মুটোয়ফোন’র কল লিষ্ট সংগ্রহ করা হয় তাহলে সহজেই ধরা পরে যাবে আলামতের কেয়ামত ! তবে ওসি দেলোয়ার বিশ্বাস করে তার বিরুদ্ধে কোন সংবাদ প্রকাশিত হলে তার কিছুই হবেনা বলে প্রকাশ্যে বলে ঘুরে বেড়ান । কারন তার হাত অনেক লম্বা বলেও দাবী করেন ?
এদিকে সংশ্লিষ্ট আরো একটি সূত্র জানায় ওসি দেলোয়ার চট্রগ্রাম রেঞ্জে বদলীর জন্য জোর লোবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এবং উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কতিপয় কর্মকর্তাদের নিকটও ধরনা দিচ্ছেন । কারন চট্রগ্রাম রেঞ্জে সিলেটের সাবেক এসপি নূরে আলম মিনাও রয়েছেন । তার শেল্টারে যাওয়ার জন্য তিনি এ লোবিং চালিয়ে যাচ্ছেন এবং বড় অংকের অর্থও ব্যয় করছেন।
পরবর্তী ৪নং-সংখ্যায় উল্লেখ করা হবে সিন্ডিকেট লাখোপতি ও কোটিপতি বাহিনীর তালিকা চোখ রাখুন……..
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd