মামলা দায়েরে বিলম্বের বিষয়ে জানতে চাইলে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর সহকারী পরিচালক আলমগীর কবির জানান, আমরা ঘটনার পরপরই থানা পুলিশের কাছে গর্ত সংশ্লিষ্টদের বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু অভিযোগে সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় থানা পুলিশ আসামীদের সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ পূণরায় অভিযোগ দিতে বলেন। তাই জড়িতদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে খানিকটা বিলম্ব হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার ওসি (তদন্ত) হিল্লোল রায় বলেন, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর পক্ষ থেকে ৪২ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের বিরোদ্ধে খোঁজ খবর নিয়ে তাদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলার আসামীরা হলেন- গোয়াইনঘাট উপজেলার মুসলিম নগরের মখলিছুর রহমানের ছেলে হবিবুর রহমান, নয়াবস্তি গ্রামের বাবু মিয়ার ছেলে আব্দুস সাত্তার, কান্দু বস্তি গ্রামের টেং ফেয়ারের ছেলে দুলাল মিয়া, মুসলিম নগরের রুহুল আমিনের ছেলে মিন্টু মিয়া, ইদ্রিস আলীর ছেলে আইয়ুব আলী, বল্লাপুঞ্জি এলাকার জিনু লামিনের ছেলে হেনরী লামিন, মোহাম্মদ পুরের আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুস সালাম, ছৈলাখেল ৮ম খন্ড গ্রামের মাহমুদ আলীর ছেলে আব্দুল আহাদ, নয়াবস্তির আজব আলীর ছেলে আব্দুল খালিক (কবিরাজ), ছৈলাখেল ৩য় খন্ডের নয়াবস্তির বাবু মিয়ার ছেলে ছাত্তার মিয়া, একই গ্রামের ইনছান মিয়ার ছেলে সেলিম উদ্দিন ও মুতালিব, ইব্রাহিম আলীর ছেলে ইছাক আলী, ইউসুফ আলী ও ইসমাইল আলী, বড় আবু পিতা অজ্ঞাত, ফজলু মিয়ার ছেলে ছোট বাবু, ছাত্তারের ছেলে কালা মিয়া, আম্বর আলীর ছেলে জহুরুল ও সেলিম মিয়া, ময়না মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া, নয়াবস্তি এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে আহমদ, জাফলং এলাকার হাজী মঈন উদ্দিনের ছেলে হবিবুর রহমান, মখলিছুর রহমান, সাহাব উদ্দিন, মুসলিম নগর এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে মিন্টু, পাথর টিলা এলাকার সিনু মিয়ার ছেলে কাদির, সোনাটিলা এলাকার ছুনু মিয়া (ঠুডা), জাফলং বস্তির কুনু মিয়ার ছেলে মুহিন, ছৈলাখেল ৩য় খন্ডের গণি বখতের ছেলে ওয়াসিম, জৈন্তাপুর থানার হরিপুরের আতাউর রহমানের ছেলে রিমন, রুপেজ মিয়া (পাখি মিয়া), খলিলুর রহমান, সফিকুর রহমান। এছাড়াও ছামাদ, সিরাজ, হেলোয়ার, আমিন, ইকবাল পিতা অজ্ঞাত, মৃত ফয়জুর রহমানের ছেলে বকুল, কালিজুড়ি এলাকার আমির আলীর ছেলে কামাল।
উল্লেখ্য, গত ২রা জানুয়ারি জাফলংয়ের মন্দিরের জুম এলাকায় অবৈধ পন্থায় পাথর উত্তোলনের সময় গর্তের পাড় ধসে পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়।