সিলেট ১৭ই জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০১৭
Sharing is caring!
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট নগরীর সার্কিট হাউজ সংলগ্ন ক্বীন ব্রিজের প্রবেশ মূখে ট্রাফিক পুলিশ আনোয়ারের ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশ আনোয়ারের ঘুষ গ্রহণের চিত্র। তখনই তার বক্তব্য গ্রহণের জন্য তাকে ডাকা হলে তিনি সংবাদকর্মীদের লাপাত্তা হয়ে যান। ফলে তার বক্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
সুরমা মার্কেটের রাহাত রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী লাল মিয়া অভিযোগ করে জানান, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর পৌণে ১২টার দিকে সুরমা পয়েন্ট থেকে কদমতলী যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি সিএনজি অটোরিক্সা রওয়ানা দেয়। পরে আমার রেস্টুরেন্টের সামনে অর্থাৎ ক্বীন ব্রিজের প্রবেশ মূখে আসা মাত্র ওই সিএনজি থামান ট্রাফিক আনোয়ার। থামিয়ে সিএনজি ড্রাইভারকে বলেন, এই ব্রিজ দিয়ে কদমতলী যাওয়া নিষেধ। যেতে হলে অন্য রাস্তা দিয়ে যা, তখন ড্রাইভার অনুরোধ করে বলেন, আমার একটু তাড়া আছে আমাকে যেতে দিন স্যার। তখনই রাজি হয়ে ড্রাইভারের কাছে ট্রাফিক আনোয়ার ঘুষ দাবী করেন। ড্রাইভার ঘুষ দিতে অপারগা প্রকাশ করলে শুরু হয় দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি। এক পর্যায়ে ড্রাইভারকে কিল, ঘুষি ও লাতি মারতে থাকেন ট্রাফিক আনোয়ার।
ট্রাফিক পুলিশ আনোয়ারের এমন আচরণ দেখে ছুটে আসেন রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী। ড্রাইভার হোটেল মালিকের পরিচিত হওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের কাছে জানতে চান কি হয়েছে- তখন আনোয়ার বলেন, ওর গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই। এখন সিএনজি অটোরিক্সাটি থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। এক পর্যায়ে রেস্টুরেন্ট মালিক ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করতে ড্রাইভারকে বলেন, ২/৩শ টাকা থাকলে উনাকে দিয়ে দাও।
একথা শুনে আনোয়ার আরো চড়াও হয়ে বলেন, ৫ হাজার টাকার কম হলে গাড়ি এখনই থানায় নিয়ে যাচ্ছি। পরে রেস্টুরেন্ট মালিক তাঁর পকেট থেকে ৫শ টাকা বের করে ট্রাফিক পুলিশ আনোয়ারকে দেন। ফলে ওষানেই শেষ হয়ে যায়।
শুধু এই অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী জানান, ট্রাফিক পুলিশ আনোয়ার যত্রতত্র যানবাহন থামিয়ে কাগজপত্র চেক করার নামে চাঁদা আদায় করেন অবিরত। কোনো কোনো সময় তিনি নিজে টাকা নেন না, ব্রিজের মূখে পত্রিকা বিক্রেতা ও বই বিক্রেতাদের দিয়ে টাকা উত্তোলন করেন। যা আমরা প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসি ট্রাফিক সুদ্বীপ রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চাঁদাবাজির ট্রাফিক আনোয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
………………………..
Design and developed by best-bd