এলাকার বেশ কয়েকজন বলেন, তাঁরা মুঠোফোনে ভিডিওটি দেখেছেন। ছেলেটির বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হওয়ায় তাঁরা বিস্মিত। সালুটিকর বাজারেই পাওয়া গেল তিন প্রত্যক্ষদর্শীকে। তাঁদের ভাষ্য, চোর হিসেবে তাকে বেঁধে রাখার প্রমাণ রাখতেই ভিডিওটি নির্যাতনকারীরা ধারণ করেন। পরে তাঁরাই গ্রামে ছড়িয়ে দেন। ঘটনাটি আজিজুরের বাড়ির সামনে ঘটেছে। আবদুল্লাহ ও আজিজুর গ্রামের মুরব্বি হিসেবে ইসবর আলীর হাতে কঞ্চি তুলে দিয়ে ‘বিচার’ করার কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। কঞ্চি দিয়ে পেটানো হয় ১০-১৫ মিনিট।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘ই-খানও আমি আছলাম না, কোনতা জানিও না।’ প্রায় দেড় বছর আগে ছেলেটির মায়ের গরু চুরির অভিযোগের বিষয়টিও তিনি ‘জানি না’ বলে এড়িয়ে যান।
আজিজুরের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। ইসবর আলীর সঙ্গে প্রতিবেশী একজনের মুঠোফোনের মাধ্যমে কথা হয়। ইসবর দাবি করেন, ছেলেটিকে তিনি শুধু কঞ্চি দিয়ে ভয় দেখিয়েছেন, পেটাননি।
মামলার বাদী ও সালুটিকর পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ সুশংকর পাল বলেন, ওই দিন স্থানীয় কয়েকজন লোক ইয়াবাসহ তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। এলাকাবাসী সাক্ষী হওয়ায় মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে। এর আগে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণের বিষয়টি তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।
এজাহারে ওই কিশোরের বয়স বেশি উল্লেখ করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা পীযূষ কান্তি দাস বলেন, ‘এটা আসলে তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাবাসীর দেওয়া বর্ণনা থেকে হয়ে গেছে। তা ছাড়া দেখতে ছেলেটিকে ১৮ বছরের বেশি মনে হয়েছে। পরে জন্মসনদ দেখে বয়স কম হওয়ার বিষয়ে অবহিত হয়েছি।’ এখন কী হবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা কোনো সমস্যা নয়, পরে ঠিক করা যাবে।’
সালুটিকর পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ি গোয়াইনঘাট থানার অধীন। যোগাযোগ করলে গোয়াইনঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিল্লোল রায় বলেন, এ ঘটনার আগে ও পরে এত কিছু হয়েছে, এ বিষয়ে আসলে থানা যথাযথভাবে অবহিত নয়। তিনি ছেলেটিকে নির্যাতনের ভিডিও দেখে এবং ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন। সূত্র – sylhettimesbd.com




