সিলেট ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০১৮
“বিশ্বের অধিক পরিচিত, অন্যতম বিলাসবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি ভবন লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার শহরে অবস্থিত বাকিংহাম প্যালেস। ব্রিটেনের রাজকীয় আভিজাত্য ও রাজতন্ত্রের প্রতীক এই বাকিং হাম প্যালেস । যেখানে বাস করেন যুক্তরাজ্যের রাজপরিবার। ব্রিটেনের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ রাষ্ট্রীয় এবং রাজকীয় অনুষ্ঠানগুলো অনুষ্ঠিত হয় এখানে।
পৃথিবীতে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা স্থাপনাগুলোর মধ্যে এই রাজপ্রাসাদ রয়েছে পর্যটকদের আকর্ষণে। প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজারের অধিক পর্যটক ঘুরতে আসে এই বাকিং হাম প্যালেস। ১৮৩৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রানী ভিক্টোরিয়ার সিংহাসনে আরোহণের মাধ্যমেই বাকিংহাম প্যালেসের পরিচয় চিরতরে বদলে যায়। ৮,২৮,৮১৮ স্কয়ার ফুটের বাকিংহাম প্যালেস পৃথিবীর ১৩ তম বৃহত্তম রাজপ্রাসাদ। প্রতিদিন এখানে প্রায় সাড়ে চারশ’ সরকারি কর্মকর্তা কাজ করে যাচ্ছেন।”
এই বাকিংহাম প্যালেস অসাধারণ সুন্দর একটি রাজপ্রাসাদ । রানী বা রাজাদের বাড়িতে গেলে মনটাও কেমন যেন অন্যরকম এক অনুভূতি কাজ করে। ২০১৬ সালে ভারতের দিল্লীতে সম্রাট শাহাজানের রাজপ্রাসাদ “অাগ্রা ফোর্ট” দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো।
সেখানে গিয়েও একই অনুভূতি কাজ করেছিলো। রাজার বাড়ী বলে কথা। তাদের সব নির্মাণই বিশাল বিশাল। বড় বড় চোখ দিয়ে সব কিছু দেখেছি অার অবাক হয়েছি। গাইডের কাছ থেকে তাদের সময় অনুযায়ী বিলাসবহুল জীবনযাত্রার কথা শোনে বিস্মিত হওয়া ছাড়া উপায় ছিলোনা। এ সব দেখে নিজেই নিজের কাছে প্রশ্ন করেছি তাদের সকল নির্মাণেই তো বিশালতায় পরিপূর্ণ , জীবনযাত্রার মান অকল্পনীয় উন্নত কিন্তু তাদের মনটাকি অাদোও বিশাল বা উন্নত ছিলো বা অাছে? অাবার ভাবি এ বিশালতার পিছনে ইতিহাস ঘাটলে হয়তো বের হয়ে অাসবে কত নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা। যাক সে অামার নিজের প্রশ্ন নিজের কাছেই রেখে দিলাম ।
বাকিংহাম প্যালেসে এবার অামার দ্বিতীয়বারের মতো অাসা। এর অাগে ১৯৯২ সালে এসেছিলাম। দেখলাম সেই অাগের ঐতিহ্য, অাভিজাত্য নিয়ে এখনোও মাথা উঁচুকরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
সুষমা সুলতানা রুহী , (লেখক : সমাজকর্মী ও জেলা পরিষদ সদস্য, সিলেট। )
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd