পরকীয়ার বলি এক শিশু আরেকজন বার্ন ইউনিটে

প্রকাশিত: ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০১৮

পরকীয়ার বলি এক শিশু আরেকজন বার্ন ইউনিটে

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পরকীয়া প্রেমের জের ধরে দুই শিশু সন্তানের গায়ে আগুন দিয়েছে মা। এতে হৃদয় হোসেন (৯) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অপর শিশু জিহাদ হোসেন শিহাবকে (৭) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে  নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার উচিতপুরা ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার সকালে পরে মা শেফালী  আক্তারকে (২৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১১ বছর আগে বাড়ইপাড়ার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে কেরানীগঞ্জের শেফালীর বিয়ে হয়। পরে তাঁদের দুই ছেলের জন্ম হয়। আনোয়ার দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়াপ্রবাসী। বিদেশে থাকার সময় পার্শ্ববর্তী মোমেনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন শেফালী। এ নিয়ে তিন মাস আগে এলাকায় কয়েকবার সালিস বৈঠকও হয়। তখন সিদ্ধান্ত হয় শেফালী বাবার বাড়িতে চলে যাবেন। কিন্তু শেফালী বিষয়টি না মেনে শ্বশুরবাড়িতেই থাকছিলেন। এসব নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও স্বামীর সঙ্গে শেফালীর মনোমালিন্য দেখা দেয়।

পুলিশ জানায়, শেফালীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মোমেনের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলছে। বিষয়টি নিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় নিজ সন্তানদের হত্যার পরিকল্পনা করেন শেফালী ও তাঁর প্রেমিক। শুক্রবার গভীর রাতে শেফালী বেগম তাঁর প্রেমিক মোমেনকে নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় দুই সন্তান হৃদয় ও শিহাবকে কাঁথায় পেঁচিয়ে ম্যাচের কাঠি দিয়ে আগুন দেন। দুই শিশুর আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে আসে। এরই মধ্যে অগ্নিদগ্ধ হৃদয় মারা যায়। পরে অগ্নিদগ্ধ শিহাবকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।

আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক জানান, শুক্রবার ভোরে মৃত দগ্ধ অবস্থায় হৃদয়ের লাশ ও আরেক সন্তান অগ্নিদগ্ধ শিহাবকে উদ্ধার করা হয়। শিহাবকে প্রথমে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। পরে মা শেফালীকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসী।

ওসি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শেফালী একেক সময় একেক কথা বলছেন। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেছেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় নিজ সন্তানদের হত্যার পরিকল্পনা করেন শেফালী ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক মোমেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..