ধর্ষনের শিকার স্কুলছাত্রীর গর্ভে জন্মানো শিশুর লাশ তিনদিন পর উদ্ধার

প্রকাশিত: ২:০৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০১৮

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : আলমডাঙ্গার তিয়রবিলা গ্রামে ধর্ষনের শিকার স্কুলছাত্রীর গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার কাইতপাড়া গ্রামের আনিসের বাড়ির সামনে পুতে রাখা মৃত শিশুটি উদ্ধার করা হয়। আনিসের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন হরিনাকুন্ডু হাসপাতালের স্টাফ নার্স। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। আজ ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। লাশের ডিএনএ টেস্টও করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত ১১ তারিখে ইত্তেফাক অনলাইনে এ স্কুলছাত্রীর সংবাদ প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে তুলে ধরা হয়েছিল কিভাবে ধর্ষণের শিকার ষষ্ঠ শ্রেণীর স্কুলছাত্রী এবং তার পরিবারকে প্রভাবশালী ধর্ষক গৃহবন্দী করে রেখেছে! সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পুলিশের তড়িৎ এ পদক্ষেপে এলাকায় হৈচৈ পড়ে গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এএসপি (সার্কেল) কলিমুল্লাহ, থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ খান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই একরামুল হক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন। তাঁরা হরিনাকুন্ডু হাসপাতাল ও ভিকটিমের বাড়ি পরিদর্শন করেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ খান ইত্তেফাককে জানান, ধর্ষক কাশেম ও তার বড় ভাই মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই একরামুল হক ইত্তেফাককে জানান, আমরা দু‘দিন ধরে মাঠে তদন্ত করেছি। গোয়েন্দা পুলিশও আামদের সঙ্গে কাজ করেছে। অবশেষে হরিনাকুন্ডু হাসপাতালের স্টাফ নার্স মর্জিনা খাতুনের কাইতপাড়ার বাড়ির সামনে থেকে পুতে রাখা শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে লাশ পাঠানো হবে। লাশের ডিএনএ টেস্টও করা হবে। তবে তিনি তদন্তের স্বার্থে আপাতত এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি।

অভিযোগ রয়েছে তিয়রবিলা গ্রামের ইব্রাহীমের ছেলে কাশেম (৫০) প্রায় ৯ মাস ধরে ওই স্কুলছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল। কিন্ত তার শারীরিক পরিবর্তনে সব জানাজানি হয়ে যায়। গত শনিবার সকালে প্রচন্ড ব্যথা উঠলে লাবনীকে নিয়ে তার মা কাঞ্চন বেগম হরিনাকুন্ডু সদর হাসপাতালে যান। সেখানে ধর্ষক কাশেমের বড় ভাই মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিল। হাসপাতালে লাবনী একটি জীবিত কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।
লাবনীর মা কাঞ্চন বেগম ইত্তেফাককে জানান,  তার কোল থেকে কন্যা সন্তানটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় কাশেমের বড় ভাই মনিরুজ্জামান। হাসপাতালের তিনজন নার্স এ কাজে মনিরুজ্জামানকে সহযোগীতা করে। এরপর তাদেরকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয়।

এদিকে, শিশু সন্তানের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। হৈচৈ পড়ে গেছে এলাকায়। পুলিশের কর্মতৎপরতায় সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকার অনেকেই। এখন আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা এবং বিচার দেখতে চায় এলাাকবাসী।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

March 2018
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..