সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:১৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : তক্ষীরায় স্বামীর বিরুদ্ধে বাবার দায়ের করা অপহরণের মামলা মিথা বলে দাবি করেছেন রীমা আক্তার শিউলী নামে এক তরুণী। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা অপহরণ মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
রীমা আক্তার শিউলী জেলার আশাশুনি উপজেলার চেচুয়া গ্রামের ইউসুফ আলী সরদারের মেয়ে।
শিউলী জানান, আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের ঘাষ্টিয়া গ্রামের জামাল সানার ছেলে আব্দুল্লাহ সানাকে তিনি ভালোবেসে বিয়ে করে তার সঙ্গে ঢাকায় চলে যান এবং একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। তাকে কেউ অপহরণ করেনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি সাবালিকা। বিধায় জীবন সর্ম্পকে আমার যথেষ্ট জ্ঞান হয়েছে। ঘাষ্টিয়া গ্রামের জামাল সানার ছেলে আব্দুল্লাহ সানা ও আমি পরস্পরকে ভালোবাসি। আব্দুল্লাহ ও সাবালক হওয়ায় আমরা উভয়ে বিয়ে করা সিদ্ধান্ত নেই। বিষয়টি বাবাকে জানালে তিনি আমার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্যত্রে আমার বিয়ে ঠিক করেন। সে কারণে আমার ভবিষ্যৎ জীবনের কথা ভেবে সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় আমি আব্দুল্লাহ সানার সঙ্গে ঢাকায় চলে যাই। এরপর ইসলামি শরীয়ত মোতাবেক রেজিঃ কাবিন মূলে ৭৫ হাজার টাকার দেন মোহর ধার্যে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস শুরু করি। পরে আমরা উভয়ে ঢাকার পেনিয়ন গ্রুফ গার্মেন্টেসে চাকরি নেই।
রীমা আক্তার শিউলী অভিযোগ করে বলেন, আমি স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে আসার পরও আমার বাবা ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে জোরপূর্বক অপহরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২৯ ডিসেম্বর আশাশুনি থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আমার স্বামী আব্দুল্লাহ সানা, ভাসুর আজিজুল সানা, শ্বশুর জামাল সানা, শাশুড়ি মারুফা বেগম, ভাসুরের স্ত্রী অসমা খাতুনকে আসামি করা হয়েছে। তারা কেউ আমাকে অপহরণ করেনি।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবার দায়ের করা মামলায় বর্ণিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায় বাবার বাড়ি থেকে চলে গিয়ে আব্দুল্লাহ সানার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে অবদ্ধ হয়ে বর্তমানে সুখে শান্তিতে বসবাস করছি। আমি এ মিথ্যা অপহরণ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে রীমা আক্তার শিউলীর ভাসুর আলমগীর হোসেনসহ শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd