মধ্যরাতে ভ্রাম‌্যমাণ আদালতে সাংবাদিককে কারাদণ্ড বেআইনি: টিআইবি

প্রকাশিত: ৯:১৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২০

মধ্যরাতে ভ্রাম‌্যমাণ আদালতে সাংবাদিককে কারাদণ্ড বেআইনি: টিআইবি

Manual2 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে ভ্রাম‌্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দেশে ভ্রাম‌্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন আছে, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে। সেই অনুযায়ী রাতের বেলা কোনো নাগরিককে ঘর থেকে তুলে এনে ভ্রাম‌্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা বেআইনি।’ শনিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ‌্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবি এমন মন্তব‌্য করে।

Manual3 Ad Code

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, যে সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তিনি যদি সন্দেহের তালিকায় থাকতেন, তাহলে তাঁকে নজরদারিতে রাখা যেতো। অথবা ‘অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায়’ পুলিশ অভিযান চালাতে পারতো। আরও গুরুতর মনে হলে ম্যাজিস্ট্রেট তার বাসা সিলগালা করে দিয়ে আসতে পারতেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মধ্যরাতে ‘দরজা ভেঙে’ একজন নাগরিককে তুলে এনে ভ্রাম‌্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দেওয়াটা অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ।’’

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘এরই মধ্যে ওই সাংবাদিকের স্ত্রী অভিযোগ করেছেন,তা স্বামীকে ‘আটক করার পর নগ্ন করে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে’। এই অভিযোগের সত্যতা থাকলে তা কেবল আইনের অপব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। যারা এই ঘটনায় জড়িত, তারা সরাসরি ফৌজদারি অপরাধ করেছেন।’’

Manual6 Ad Code

বিবৃতিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমরা যতটুকু বুঝি, তাতে ভ্রাম‌্যমাণ আদালতের ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু তা না করে ওই সাংবাদিককে তুলে আনার পর ভ্রাম‌্যমাণ আদালতে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এই থেকে পুরো ঘটনাটির পেছনেই যে অপরাধ দমন নয়, বরং অন্য কোনো বিবেচনা কাজ করেছে, তা স্পষ্ট।’

এই ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রসঙ্গে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা দাবি করছি, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি দ্রুত একটি নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য প্রতিবেদন দেবে। এমন জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ গৃহীত হবে যার গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে না।’

Manual6 Ad Code

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা গেছে, জেলাপ্রশাসক ও তার নেতৃত্বে জেলাপ্রশাসনের ‘নানা স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের’ বিষয়ে প্রতিবেদন করে আসছিলেন আরিফুল ইসলাম। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করার জন্যই যদি তাকে এমন বেআইনিভাবে তুলে এনে বিচার করা হয়ে থাকে, তবে সেটা দেশের জন্য এক অশনি সংকেত। কারণ সেক্ষেত্রে এই পুরো ঘটনাপ্রবাহকে বিবেচনা করতে হবে গণমাধ্যমের জন্য একটি সতর্ক বার্তা হিসেবে, যার সরাসরি দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করা যাবে না।’’ যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার অঙ্গীকার করেছেন, সেখানে প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তার এহেন আচরণ গুরুতর অসদাচারণ সরকারকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার শামিল বলেও তিনি মন্তব‌্য করেন।

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..