মা হিসেবেও আবরার হত্যার সুষ্ঠু বিচার করব: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১২:৫১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০১৯

মা হিসেবেও আবরার হত্যার সুষ্ঠু বিচার করব: প্রধানমন্ত্রী

Manual2 Ad Code

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমি শুধু সরকারপ্রধান হিসেবেই নয়, একজন মা হিসেবেও আবরার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার করব।’

Manual6 Ad Code

মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী এ সময় চলমান অনিয়ম ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান নিয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘ধরা শুরু করেছি যখন সবই ধরব।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা দেশ রূপান্তরকে আরও বলেন, কিছু দুষ্ট লোক, রাজনীতিকরা আবরার হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে ফায়দা হাসিল করার চেষ্টা করবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

Manual5 Ad Code

একই সঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অভিভাবক হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে যাওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে বুয়েটে চলমান আন্দোলন নিয়ে ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমরা কঠোর। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা দায়ের করা হয়েছে। যারা জড়িত ছিল তাদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরকম তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা কোনো সরকারের সময় নেওয়া হয়নি। আইন অনুযায়ী এ ঘটনার বিচার হবে।

Manual4 Ad Code

শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। আমরা ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করেছি। শিক্ষার জন্য আমরা যা করেছি পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ের কোনো সরকার তা করেনি। ক্যাম্পাসে কোনো অস্ত্রবাজি নেই, অশান্তি নেই।

বুয়েটে চলমান আন্দোলন নিয়ে ছাত্রলীগকে ‘কিপ সাইলেন্ট’ থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এ ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছি না। ছাত্রলীগ বা সরকার অপরাধীদের পক্ষ নেয়নি। তাই ছাত্রলীগকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কেউ আন্দোলনটিকে রাজনৈতিক রং দিতে না পারে।

Manual6 Ad Code

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তা করা হয়েছে। অস্ত্রবাজরা এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই। এসব যাদের ভালো লাগছে না, তারা ক্যাম্পাসকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করতে পারে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..