বড়লেখায় আইনজীবী আবিদার খুনিদের বিচার চাইলেন স্বামী শরীফুল

প্রকাশিত: ১:২১ পূর্বাহ্ণ, মে ২৮, ২০১৯

বড়লেখায় আইনজীবী আবিদার খুনিদের বিচার চাইলেন স্বামী শরীফুল

Manual3 Ad Code

মৌলভীবাজারেরর বড়লেখায় আইনজীবী আবিদা সুলতানার (৩৫) খুনের ঘটনায় জড়িতদের বিচার চেয়েছেন তাঁর স্বামী শরীফুল ইসলাম। ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামিদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

সোমবার রাতে সাংবাকিদদের সঙ্গে আলাপকালে আবিদার স্বামী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কাউকে সন্দেহ করছি না। তবে আমার স্ত্রীকে যারা খুন করেছে, আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। এজন্য পুলিশের প্রতি আমার অনুরোধ তারা যেন প্রকৃত আসামিকে দ্রুত বের করে।’

এদিকে সোমবার রাত সাড়ে ৭টায় স্থানীয় একটি মসজিদ প্রাঙ্গণে আবিদার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। এর আগে ময়না তদন্ত শেষে আবিদার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

Manual5 Ad Code

রোববার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের পৈতৃক বাড়ি আবিদা সুলতানার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার যে কোনো সময় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহত আবিদা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও বড়লেখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার পর আবিদার পৈতৃক বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া স্থানীয় মসজিদের ইমাম তানভীর আহমদ (৩০) পলাতক ছিলেন।

Manual3 Ad Code

এদিকে কে বা কারা কী কারণে তাঁকে খুন করেছেন, তা এখনো জানা যায়নি। তবে পুলিশ বলছে, খুনের রহস্য উদঘাটনের জন্য তারা কাজ করছেন। যদিও এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবিদার পৈতৃক বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকা ইমাম তানভীর আহমদকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউপির বরুনা এলাকা থেকে তানভীরকে আটক করা হয়। এর আগে তানভীরের মা ও স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়।

Manual8 Ad Code

বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক বলেন, ‘ঘটনার পর আবিদার বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া ইমাম তানভীর পালিয়ে গিয়েছিল। শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার রহস্য বের হয়ে আসবে। এই ঘটনায় তানভীরের মা ও স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়নি।’

এদিকে নারী আইনজীবী আবিদা সুলতানা খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল এবং কর্মবিরতি পালন করেছেন মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা।

বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সভায় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এসএম আজাদুর রহমান আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বারের সাবেক সভাপতি শান্তি পদ ঘোষ, রমাকান্ত দাস গুপ্ত প্রমুখ।

এছাড়া সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, মৃত আব্দুল কাইয়ুমের তিন মেয়ের মধ্যে আবিদা সুলতানা বড়। প্রায় ৮ বছর আগে লালমনিরহাটের আদিতমারি থানার শরীফুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয়। আবিদা মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী। তাঁর স্বামী শরীফুল ইসলাম একটি ওষুধ কো¤পানীতে চাকরী করেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে মৌলভীবাজার শহরে বসবাস করতেন।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..