ওসমানী হাসপাতালে সেবিকা রেখা বণিক বে-পরোয়া

প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০১৭

ওসমানী হাসপাতালে সেবিকা রেখা বণিক বে-পরোয়া

Manual6 Ad Code

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটে সম্পূর্ন পেরোয়া সেবিকা রেখা রাণী। সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রেখা রাণী বনিক’র চাঁদাবাজি,ঘুষবানিজ্য,নির্যাতন-নিপীড়ন সীমা চড়িয়ে গেছে। হাপাতালে যোগদানের পর অদৃশ্য কারণে তিনি সহযোগীদের নিয়ে গড়ে তোলেন একটি শক্তিধর ‘চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট।’ টাকার বিনিময়ে ইচ্ছেমত ডিউটি বণ্টন, বদলী, ছুটি, প্রশিক্ষন সব কিছুই নিজের মতোই করেই চালিয়ে যাচ্ছে তিনি। স্বেচ্ছাচারিতায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন তিনি। নার্সের চাকুরি করে গড়ে তুলেছেন জানা অজানা ও জ্ঞাতআয় বহির্ভুত টাকার পাহাড়। সিলেটে ও জন্মস্থান নিজ এলাকায় গড়ে তুলেছেন বিশাল বিত্তবৈভব। পদবীতে নার্স বা সেবিকা হলেও বাহ্যত তিনি একজন মেডিকেল অফিসার। নার্সদের পোষাক কোনদিন পরতে দেখা যায়নি তাকে। সাদা ও অলিখিত কাগজে স্বাক্ষর আদায় ধর্তব্য অপরাধ হলেও রেখারানীর কাছে তা’ অধর্তব্য। প্রায়ই তিনি সাদাকগজে হাসপাতালে কর্মরত নার্সদের স্বাক্ষর নিয়ে ইচ্ছেমতো ও ব্যক্তিস্বার্থে তা ব্যবহার করে থাকেন। স্বাক্ষর দানে অপরগতা প্রকাশ করলে নেমে আসে শাস্তির খড়গ।

Manual8 Ad Code

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক সম্প্রতি সেবিকাদের একটি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে কোনো আলোচনা ও সিদ্ধান্ত না হলেও অলিখিত সাদাকাগজে উপস্থিত সেবিকাদের স্বাক্ষর আদায় কওে নেন হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রেখা রাণী বণিক। হাসপাতাল পরিচালকের কক্ষেই এ স্বাক্ষরগুলো আদায় করে নেয়া হয়। এসময় হাসপাতাল পরিচালক ছিলেন অনুপস্থিত। স্বাক্ষরগুলো নিয়ে সবার অজান্তেই তাদের নাম ও মতের যে কোন ন্যায়-অন্যায় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন স্টাফ নার্স রেখা বনিক। ওসমানী হাসপাতালের নার্সদের পোষাকের রং পরিবর্তন বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হবে, এ মর্মে কথা দিয়ে সাদাকগজে স্বাক্ষর দিতে অধীনস্থ নার্সদের বাধ্য কেেরন রেখা বনিক। কিন্তু পরবর্তীতে পোষাকের রং পরিবর্তন বিষয়ে কিছুই লেখা হয়নি বা কিছুই করা হয়নি।

Manual3 Ad Code

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নার্স জানান, নতুন পোষাক (ইউনিফর্ম) বানানোর নামে নার্সপ্রতি তাদের কাছ থেকে ১৬শ’ টাকা করে আদায় করেন। কিন্তু নার্সরা শেষ পর্যন্ত পোষাকই পায়নি। এব্যাপারে নার্সরা হয়রানী ও চাকুরী হারানোর ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না বলে সংশি¬ষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

রেখা রাণী বণিক বর্তমানে মেডিকেলের স্টাফ কেবিনের অর্থাৎ ১৮ নং ওয়ার্ড ইনচর্জ। একই সাথে ভারপাপ্ত সুপারভাইজার-এর দায়িত্বও পালন করছেন। লকাল ওডারে দুইটি পদের দায়িত্ব পালন করেন বলে প্রচার করে থাকেন।

Manual4 Ad Code

স্টাফনার্স হলেও দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে রাত্রিকালীন দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি তাকে। করেননি নার্সদের মধ্যে লবিং ও গ্রুপিংই মূলত তার কাজ । নার্সদের মধ্যে যারা তার অনুগত তাদেরই ভাল ও আরামের জায়গায় ডিউটি দেন তিনি।

Manual7 Ad Code

সেবিকা রেখা রাণী বণিকের গ্রামের বাড়ি নেয়াখালী জেলায়। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবিকা পদে কর্মরত রয়েছেন। ২০০৫ সালে বিয়ে করেন শেখর বনিক নামের এক ব্যক্তিকে। কিন্তু ৭০লাখ টাকা আত্মসাত মামলায় তার স্বামী পলাতক ও দীর্ঘ আত্মগোপনে থাকায় বিয়ের পর থেকে বাহ্যত তিনি নি:সঙ্গ ও নি:সন্তান দিনযাপন করে আসছেন। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-হোতা ও নামধারী কিছু সাংবাদিকের সাথে তার রনয়েছে গভীর সখ্যত্ াআর এ কারণেই পদে সেবিকা হয়েও রেখা রাণী বনিক কার্যত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রভাবশালী মেডিকের অফিসার।

ওসমানী হাসপাতালের নার্স রেখা বণিকের হাত থেকে রক্ষা পেতে নাম নির্যাতিত ও নিপীড়িত সেবিকারা সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ কামনা করেছেন। তবে সেবিকা রেখা রাণী বনিক সাংবাদিকদের কাছে তার বিরুদ্ধে আপনীত অন্যায়,অনাচার, আত্মসাত,ঘুষ বানিজ্য ও চাঁদাবাজির সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2017
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  

সর্বশেষ খবর

………………………..