সিলেটে কবিরের অত্যাচারে দিশেহারা লিপি

প্রকাশিত: ৭:৪৮ অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০১৯

সিলেটে কবিরের অত্যাচারে দিশেহারা লিপি

Manual8 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার :: সাবেক স্বামীর অত্যাচার ও হুমকি ধমকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শহরতলীর মেজরটিলা সৈয়দপুর গ্রামের মরম আলীর মেয়ে মরিয়ম আক্তার লিপি।

সাবেক স্বামী কানাইঘাটের দুর্লভপুর গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে কবির আহমদ এই নারীকে নানাভাবে হয়রানী করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Manual3 Ad Code

শনিবার বেলা ২টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মরিয়ম আক্তার লিপি এরকম অভিযোগ করেন।

Manual3 Ad Code

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার সাথে কবির আহমদের দুই বছর পূর্বে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের কিছু দিন পর উক্ত কবির আহমদ তার পিছু নেন। কারণে অকারণে তাকে বিরক্ত করতে থাকেন। সাবেক সম্পর্কের দোহাই দিয়ে সোনারপাড়াস্থ মরিয়মের মালিকানাধীন সোনিয়া বিউটি পার্লারে আসা যাওয়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে কাকুতি মিনতি করে তার কাছ থেকে টাকা পয়সা ধার নিতে শুরু করেন। প্রতারক কবির আহমদ নিজের একেক সময় একেক পরিচয় দিয়ে থাকেন। কখনো সাংবাদিক, কখনো গোয়েন্দা আবার কখনওবা র‌্যাব কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন। প্রায় সময় কবির নিজেকে সিলেটের বড় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা ধরণের প্রতারণা করতে থাকেন।

Manual1 Ad Code

মরিয়ম আক্তার লিপি উল্লে­খ করেন, কবির আহমদ একজন ভদ্রবেশী ধোঁকাবাজ লোক বটে। সম্প্রতি অসুস্থতা জনিত কারণে নগরীর ইবনে সিনা হাসপাতালে মরিয়ম ভর্তি হন। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পর তার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তার সাথে খারাপ এবং অশালীন আচরণ করেন কবির। তার অনৈতিক আচরণে বাঁধা দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। নিজের ঘরে স্ত্রী রেখে নারীদের পিছু নেওয়া কবির আহমদের স্বভাব।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করা হয়, কবির আহমদের সাথে সংসার চলাকালে তার নিজের ও চারিত্রিক উন্নতির জন্য মরিয়ম তার পরিশ্রমের টাকা দিয়ে তাকে ওমরা হজ্ব করান। কানাইঘাট পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে কবির আহমদ অংশ নিলে নির্বাচনের সকল ব্যয়ভার তিনি বহন করেন। সংগতকারনে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায় তিনি তার উপর কোন আক্রোশ রাখেননি। কিন্তু কবির আহমদ তার সম্পদের লোভে পড়ে তালাক প্রদান করার পরেও তার সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন। বছরখানেক পূর্বে পাওনা টাকা চাইতে গেলে কবির আহমদ সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসে মরিয়মের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করেন। এ ব্যাপারে মরিয়ম এসএমপির শাহপরাণ (রহঃ) থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে জেল খেটে বের হয়ে আবারও মরিয়মের পিছু নেয় কবির আহমদ। কবির আহমদ টাকার বিনিময়ে কিছু সংখ্যক পুলিশকে ম্যানেজ করে মরিয়মকে হয়রানী করে যাচ্ছেন। কয়েকদিন পূর্বে মরিয়মের ছোট বোন সুলতানার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়েও হুমকি ও তার সাথে খারাপ আচরণ করেন কবির আহমদ।

সাংবাদিক পরিচয়দানকারী প্রতারক ও বিকৃত রুচির কবির আহমদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিনীত অনুরোধ জানান মরিয়ম।

Manual6 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..