স্বামীর সঙ্গে কলহে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন দুই সন্তানের জননী

প্রকাশিত: ৫:২৩ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০১৯

স্বামীর সঙ্গে কলহে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিলেন দুই সন্তানের জননী

Manual2 Ad Code

বাপের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে কথাকাটির জের ধরে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা আখাউড়াগামী সুরমা ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন দুই সন্তানের এক জননী।

Manual8 Ad Code

এসময় চন্দনা রাণী দাশ (২৮) নামের ওই নারী তার পুরো ডান হাত ও ডান পায়ের দুই আঙুল হারিয়েছেন। তিনি শ্রীমঙ্গল শহরতলীর সবুজবাগ আবাসিক এলাকার কাতার প্রবাসী রনি দাশের স্ত্রী।

বর্তমানে চন্দনাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার সাথে স্বামী রনি দাশও সেখানে আছেন। এখন অনেকটা আশঙ্কামুক্ত ওই নারী।

Manual3 Ad Code

গতকাল সোমবার দুপুর সোয়া একটারদিকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফর্মের উত্তর পাশ থেকে আখাউড়াগামী সুরমা ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন চন্দনা। এ সময় তার ডান হাত ও ডান পায়ের দুই আঙুল দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার মাথাসহ বাকি শরীর দুই লাইনের মধ্যে পড়ে ছিলো তাই তিনি প্রাণে রক্ষা পান বলে জানান শ্রীমঙ্গল জিআরপি থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন সিরাজী।

ওসি আরো বলেন, ঘটনাটি আমাদের থানা ক্যাম্পাসের অদূরে হওয়ায় আমরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীমঙ্গল পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে মৌলভীবাজার থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Manual7 Ad Code

তিনি বলেন, বাপের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সোমবার সকালে ঝগড়া হয়। এর জের ধরেই রনি দাশের স্ত্রী রেললাইনে এসে ঝাঁপ দিতে যায়। তিনি দুই সন্তানের জননী। এক মেয়ে সাড়ে আট বছরের। আরেক ছেলে ৪ বছরের। এ ঘটনায় এখনো কেউ বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দেননি। তারপরও আমরা ঘটনাটি থানায় সাধারণ ডায়েরি করে রেখেছি। অভিযোগ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার বেলা ২টারদিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে স্ত্রীর সাথে অবস্থারত কাতার প্রবাসী স্বামী রনি দাশ মুঠোফোনে বলেন,‘আমার স্ত্রী বাবার বাড়ি শায়েস্তাগঞ্জে বেড়াতে যাওয়া নিয়ে দুজনের মধ্যে সকালে একটু কথাবার্তা ও রাগারাগি হয়। আমিও তাকে বলেছি, ঠিক আছে, আজকে না গিয়ে অমুকদিন যাওয়ার জন্য। তখন আমার শাশুড়িও বাসায় ছিলেন। তাকেও বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছি। এর মাঝেও তার (চন্দনা) মাথার মাঝে কিতা যে উঠলো আমাকে খুচিয়ে খুচিয়ে মাতের। মাতে মাতে খালি মাত বাড়ের। এর পরে ঝগড়া বিরাট বড় হয় হই গেছে।’

Manual5 Ad Code

রনি দাশ বলেন,‘এর জন্য যে এরকম ঘটনা ঘটবে স্বপ্নেও কল্পনা বা চিন্তা করতে পারিনি। কারণ আজকে ১০/১২ বছর ধরে আমাদের সংসারজীবনের মধ্যে কোনো ঝগড়াঝাটি হয়নি।’

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..