যানজটমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন সিলেট নগর গড়তে রিক্সা-অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রণ আবশ্যক

প্রকাশিত: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০১৯

যানজটমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন সিলেট নগর গড়তে রিক্সা-অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রণ আবশ্যক

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট সিটি কর্পেরেশন এলাকার বিভিন্ন রাস্তা ও রাজপথগুলোতে যানজটের মূূলে রয়েছে অবৈধরিক্সা-অটোরিক্সা ও পুলিশের মাসোহারা। তাই রাজপথগুলোকে রিক্সামুক্ত করণ সময়ের দাবিতে পরিনত হয়েছে। বিকল্প হিসেবে সিটিবাস চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। একটি আধুনিক ও পরিচ্ছন্ন নগর গঠণের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এ দাবির প্রতি গুরুত্বারোপ করা আবশ্যক বলে বিজ্ঞমহল মনে করেন।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স শাখার কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ক্রাইম সিলেটকে জানান, সিলেট সিটি কর্পেরেশন থেকে নগরে চালানোর জন্য ১৩ হাজার ১৬৭টি রিক্সার প্লেট বরাদ্দ রয়েছে। রিক্সা চালানোর লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৫৫০ জনকে। বাদ বাকি সব রিক্সা ও চালকগন বাইরের বিভিন্ন ইউনিয়নের। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে টু-পাইসের বিনিময়ে প্লেট ও লাইসেন্স ক্রয় করে নগর জুড়ে লাগামহী চালানো হচ্ছে রিক্সা। কোন কোন ট্রাফিক পয়েন্টে এমনও দেখা যায় দাঁড়ানো ২০ টি রিক্সার মধ্যে ১৫ টিতে কোন আরোহী বা যাত্রী নেই। রিক্সার অবাধ ব্যবসা ও চলাচল নগরজীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সিলেট সিটি কর্পেরেশনের দেওয়া প্লেট ডুপ্লিকেট করে একাধিক প্লেট তৈরী করে গেরেজ মালিকরা রিক্সা ভাড়া দিচ্ছেন। নগরে রিক্সা গেরেজের সংখ্যা একশ’রও বেশী। গেরেজ মালিকরা নানা জাল জালিয়াতির আশ্রয়ে রিক্সা আমদানী করে দৈনিক ভাড়া কামাই করছেন।

মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে এসব গেরেজে ও রিক্সার তালিকা রয়েছে। সূত্রমতে তালিকা অনুযায়ী ট্রাফিক সেক্টর গেরেজ মালিকদের কাছ থেকে মাসোহারা গ্রহণ করে থাকে। অপর একটি সূত্র মতে সিলেট সিটি’র রিক্সা প্লেট ১৩ হাজার ১৬৭টি থাকলেও সিটি এলাকায় দেড় লাখেরও বেশী রিক্সা চলাচল করছে। এতে করে যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি আইনশৃংখলারও অবনতি ঘটছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পালিয়ে আসা দাগী অপরাধীরা রিক্সা চালক সেজে নগরে অবস্থান করে দিনে নামমাত্র রিক্সা চালিয়ে চুরি ও ডাকাতির পরিকল্পনা করে থাকে। দিনে রিক্সাচালক আর রাতে করে ডাকাতি। এমনকি রিক্সা চালক বেশে অনেক পেশাদার খুনীরাও নগরে অবস্থান নিয়েছে। অতীতের চাঞল্যকর অনেক হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে রিক্সা চালক নামের পেশাদার খুনীদের দিয়ে। আর এসব ঘটনায় রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে ভালমানুজন হয়রানীর শিকার হেেয়ছেন। রিক্সা গেরেজ পরিচালনার অন্তরালে পবিত্র এ নগরীতে পতিতা বানিজ্য ও মাদক ব্যবসাও জমজমাট হয়ে ওঠেছে। রিক্সা চালকরা বিভিন্ন বস্তীতে শ্যালিকা বোন বা মেয়ে পরিচয়ে নষ্টা নারীদের রেখে দেহ ব্যবসা করছে। আর অন্ধকার জগতের এ ব্যবসার সাথে গেরেজ মালিকসহ কামুশ্রেণির একদল লোক জড়িত রয়েছে।

তাই যানজট নিরসন ও পরিচ্ছন্ন সিলেট নগর গড়তে কর্তৃপক্ষকে ভোটের রাজনীতি বাদ দিয়ে শুধু দৃশ্যমান উন্নয়ন ও রাস্তা প্রশস্থ করণ নয়, রিক্সা-অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রন করতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে জনচলাচলের।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..