সিলেট ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:১০ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলার সর্ববৃহৎ নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জ-১আসন ধর্মপাশা,তাহিরপুর,জামালগঞ্জ উপজেলা এবং মধ্যনগর থানা নিয়ে গঠিত। জলমহাল,বালুমহাল,পাথর মহাল,শুল্কস্টেশন ও পর্যটন এলাকার কারণে আসনটি বিপুল সম্ভাবনার। এই কারনে সরকারও নানা এখান থেকে মোটা অংকের রাজস্ব নিয়ে থাকে। যার ফলে এই আসনটিতে জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহী অনেক হেভিওয়েট নেতাও প্রতিটি নির্বাচনে তদবির করেন। এবারও ২১জনের অধিক আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা সাংগঠনিক দক্ষতা,জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় মনোনয়ন দিয়েছেন বর্তমান সাংসদ তরুণ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে। মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ২০০৮সালের জাতীয় নির্বাচনে চারদলীয় জোট প্রার্থী ডাঃ রফিক চৌধুরীকে প্রায় ১লক্ষ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন। ২০১৪সালের জাতীয় নির্বাচনেও তিনি সাবেক সাংসদ ও হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল হক সোহেলকেও বিপুল ভোটে পরাজিত করেছিলেন।
দলীয় সুত্রে জানাযায়,গত দশ বছরে সাংগঠনিক ভাবে বিরল ঘটনার জন্ম দিয়েছেন তৃতীয় বারের মতো সুনামগঞ্জ-১আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন। তিনি নির্বাচনী এলাকার তিনটি উপজেলা ও একটি থানায় আওয়ামীলীগের নিজস্ব ৩৭টি কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। ইতোমধ্যে ২০টিরও বেশি অফিসের কাজ শেষ। বাকিগুলোরও চলতি মাসেই নির্মাণ কাজ শেষ হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনার লক্ষে প্রতিটি অফিসকেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি অফিসগুলোতে চোয়ার টেবিল,টিভি,বিদ্যুৎ ও সাউন্ডসিস্টেম করে দিয়েছেন সুসজ্জিত করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন এই কার্যালয় গুলোকে কেন্দ্র করেই এখন তৃণম‚ল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা প্রচারণায় মুখর। নির্বাচনী প্রচার,গণসংযোগ,পরিকল্পনাসহ নির্বাচনের সবধরনের কাজ চলছে অফিসগুলো থেকে। স¤প্রতি নির্বাচনকে সামনে রেখে অফিস গুলোতে নেতাকর্মীদের মধ্যে অফিস কেন্দ্রিক মুখরতা বিরাজ করছে।
মাসুক মিয়া,সেলিম হায়দার,জুমুর তালুকদার,রাহাদ হায়দারসহ নেতাকর্মীরা জানান,মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরেই তৃণম‚ল আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করার জন্য ৩৭টি স্থানে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সহায়তায় জমি কিনে আ,লীগের অফিস নির্মান করেন। তবে সবচেয়ে বেশি পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন তিনি। ৩৭টি অফিসে ঘরোয়া সভাসহ নির্বাচন পরিচালনা ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত জরুরি বৈঠক করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি বাংলাদেশের কোথাও এতগুলো নিজস্ব মালিকানাধীন দলীয় অফিস নেই। এটি সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন তৃণম‚ল আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করে তাদের সব সময় দলীয় কাজে উজ্জীবিত রাখতেই পরিকল্পিত ভাবে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে সফল হয়েছেন বলে তারা মনে করেন। এখন নির্বাচন পরিচালনা ও দলের বিভিন্ন সভায় কাজ করতে সহজ হচ্ছে। তাহিরপুর উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক রায়হান উদ্দিন রিপন বলেন,আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তৃণম‚লকে সংগঠিত ও উজ্জীবিত রাখার গত ১০বছরে ৩৭টি স্থানে আওয়ামীলীগের নামে নিজস্ব দলীয় কার্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিরল উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে সফল হয়েছেন। অফিসগুলো এখন তৃণম‚ল আওয়ামীলীগের প্লাটফরম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে সুনামগঞ্জ-১আসনের সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সর্বাতœক চেষ্টায়।
সুনামগঞ্জ জেলা আ,লীগের সদস্য ও বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন,সাধারণ মানুষের নেতা ও শেখ হাসিনার বিশ্বস্থ কর্মী হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন তাহিরপুর,বাদাঘাট,ধর্মপাশাসহ বিভিন্ন স্থানে আওয়ামীলীগের নিজস্ব দলীয় কার্যালয় তৈরী করে দিয়ে সবাইকে বুঝিয়ে দিয়েছেন আওয়ামীলীগকে কতটা ভালোবাসেন এটা একটা অনুকরণীয় উদাহরণ। সেই অফিসগুলো স্থানীয় নেতৃবৃন্দই পরিচালনা করছে। এ কারণে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন তৃণম‚লে ব্যাপক জনপ্রিয়। একজন মানুষের দলের প্রতি ভালোবাসা কতটা দরদ থাকলে এমন কাজ করতে পারেন তা ভাবলেই শ্রদ্ধা জাগে।
সুনামগঞ্জ-১আসনের সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় আমি নিজেকে সবসময় তৃণম‚ল আওয়ামীলীগের একজন ক্ষুদ্রকর্মী মনে করি। আমি আমার জায়গা থেকে তৃণম‚ল আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত রাখতে তাদের জন্য নিজস্ব দলীয় কার্যালয় করে দিয়েছি। নেতাকর্মীরা আমাকে এ কাজে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। নেতাকর্মীরা যাতে সবসময় দলের পক্ষে নিরলস কাজ করতে পারেন এজন্যই এই চেষ্টা। আগামীতেও নির্বাচনী এলাকার গুরুত্বপ‚র্ণ স্থানগুলোতে নিজস্ব দলীয় কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd