সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:০৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
সিলেট :: সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু ইমন হত্যা মামলায় এবার সাক্ষ্য দিলেন দুই তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার সিলেটের দ্রæতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিমের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যকালে দুই তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা হত্যাকান্ডের আগে ও পরে মুক্তিপন আদায়, লাশের হাড়গুর উদ্ধার, আসামী গ্রেফার ও জবানবন্দী গ্রহনসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। সাক্ষ্যদানকারী কর্মকর্তারা হলেন, সুনামগঞ্জ ডিবি পুলিশের তখনকার এসআই ও বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশ জাফলং সাব জোনের পুলিশ পরিদর্শক দেবাংশু কুমার দে ও ছাতক থানার তখনকার এসআই বর্তমানে সুনামগঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আহমদ মঞ্জুর মোর্শেদ। এর আগে ৪ ডিসেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জন) ডা. বিশ্বজিত গোলদার। ইতোমধ্যে হবিগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহীদুল আমিন ও সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিনহাও সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই জানান, মামলার সাক্ষ্যগ্রহন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুইজন তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরমধ্যে আহমদ মঞ্জুর মোর্শেদের শুধু জেরা অসূম্পর্ণ রয়েছে। পরবর্তী তারিখ ৭ জানুয়ারি তার জেরা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য প্রদানকালে পুলিশ পরিদর্শক দেবাংশু কুমার দে উল্লেখ করেন, ছাতক থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদ ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে তিনি মুক্তিপনের টাকা যেসব বিকাশ নাম্বারে নেওয়া হয়েছে তা সনাক্ত, এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত করেন। ২০১৬ সালের ৩০ জুন তিনি আদালতে একই ধারায় সম্পুরক চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতে আসামীদের পক্ষে তাদের আইনজীবী তাকে জেরাও করেন।
মামলার মূল তদন্তকারী কর্মকর্তা আহমদ মঞ্জুর মোর্শেদ আসামীদের গ্রেফতার, বিভিন্ন আলামত জব্দ, লাশের অংশ বিশেষ উদ্ধার ও ডিএনএ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী তাকে জেরাও করেন। তবে বৃহস্পতিবার তার জেরা সম্পন্ন হয়নি।
ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেনীর ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপনের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে। ৮ এপ্রিল মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের কদমতলী বাসষ্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। এমনকি বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করে জড়িতদের। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।
প্রসঙ্গত, মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশের পর সিলেটের দ্রæতবিচার ট্রাইব্যুনালে কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি ট্রাইব্যুনালে উঠে। মধ্যখানে বিরতির পর গত ২ আগষ্ট থেকে আবার সাক্ষ্য গ্রহন শুরু করেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহন শেষের পথে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd