সিলেট ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০১৮
কোম্পনীগঞ্জ প্রতিনিধি :: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় খাসকালেকশনের নামে চলছে সরকারী রাজস্ব হরিলুট। কোম্পানীগঞ্জের ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা খলিলুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী মহল সরকারী সম্পত্তি ও খাসকালেকশনের টাকা আত্মসাৎ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানাযায় কোম্পানীগঞ্জ ভূমি অফিসের কিছু অসাধু দূনীর্তিবাজ কর্মকর্তার সহযোগিতায় একটি প্রভাবশালী মহল বছরের পর বছর থেকে খাসকালেকশনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে চলেছে, যেন দেখার কেউ নেই। প্রতিদিন কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ কোয়ারীতে খাসকালেকশনের নামে বাশকল বসিয়ে প্রতি ট্রাক থেকে ৬শত টাকা করে আদায় করা হয়।
কিছু ট্রাককে রাজস্ব আদায়ের রশিদ দিলেও বেশীরভাগ ট্রাককে সেই রশিদ দেওয়া হয়না। কোয়ারির শ্রমিক ও স্থানীয়রা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন প্রতিদিন ৮শ থেকে হাজারটি ছোট বড় ট্রাক কোয়ারী থেকে পাথর পরিবহন করে থাকে। এই ট্রাক থেকে প্রতিদিন ৫থেকে ৭লক্ষ টাকা আদায় করা হলেও ধারনা করা হচ্ছে সরকারী হিসেবে প্রতিদিন ১লক্ষ থেকে ১লক্ষ ২০হাজার টাকা জমা করা হয়,বাকী টাকা প্রভাবশালী মহল বাগ-বাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। অনুসন্ধানে জানাযায় দুই বছর পূর্বে খলিলকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে সিলেটের বিয়ানীবাজার ভূমি অফিসে বদলি করা হয়, বর্তমানে তিনি সেখানেই কর্মরত আছেন।
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সার্ভেয়ার খলিল বেতন/ভাতা বিয়ানীবাজার থেকে উত্তোলন করলেও দায়িত্ব পালন করেন কোম্পানীগঞ্জে। এব্যপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ভূমি অফিসে যারা কর্মরত তাদের কোন পদ নেই, তাই অন্য জায়গায় পোষ্টিং হলেও কাজ বিবেচনায় অন্য উপজেলায় দায়িত্ব পালন করতে পারে,সেটা সরকারের নির্দেশ আছে। তবে খলিল সাহেব কোম্পানীগঞ্জেই কর্মরত আছেন। খাসকালেকশনের দূর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সেখানে সরাসরি গিয়ে একদিনের ভিডিও ফুটেজ দেখে মন্তব্য করার পরামর্শ দেন।
এব্যপারে সার্ভেয়ার খলিলের সাথে যোগাযোগ করা হলে দূর্নীতির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আমার হাত অনেক লম্বা,কেউ কিছু করতে পারবেনা। উল্লেখ্য দূর্নীতি দমন কমিশন,সমন্নিত জেলা কার্যালয়,সিলেট এর উপ-সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ অবৈধ্য ভাবে ভূমি আত্মসাৎ করার অভিযোগে সার্ভেয়ার খলিলসহ ৭জনের বিরোদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারায় ২০১৬ সালের ২০শে ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৩/১৬। সেই মামলায় সার্ভেয়ার খলিল ৪নং আসামী।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd