সিলেট ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২১শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাশতলা হক নগর এলাকাটি মহান মুক্তিযোদ্ধে স্মৃতি বিজড়িত একটি পর্যটনের সৌন্দর্য অপূর্ব লিলা ভ’মি। যা দোয়ারা বাজার উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে প্রতিবছর দেশ বিদেশি পর্য়টক এই অপূর্ব দৃশ্য অবলোকন করে আসছেন। কিন্তু এলাকার কিছু অসাধু পাথর খেকো ও বিজিপির কারণে পর্যটনের সৌন্দর্য দিনদিন নষ্ট হতে চলেছে। পাহাড় কেটে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে যেমন এলাকার সুন্দর্য় নষ্ট হচ্ছে তেমনি মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। বাশতলা স্মৃতিসৌধ এলাকাটি ভারতের সু-উচ্চ পাহার ঘিরে রেখেছে তিন দিক থেকে। এখন পাথর কেকোদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা পর্যটন সৌন্দর্য এলাকাটি। সরকারের পক্ষ থেকে বাশতলা এলাকায় পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও এক শ্রেনীর অসাধু কর্মচারীরও স্থায়ী প্রশাসনের যোগসাজেসে প্রতিনিয়ত রাতের আধাঁরে পাথর উত্তোলনের ফলে বাশতলা এলাকার সৌন্দর্য হারিয়ে যাচ্ছে খেকোদের হাতে। সেই সুবিধা ভোগ করেন পাথার খেকোরা। রাতের আধারে পাথর উত্তোলন করে দেড় মাসের জমানো পাথর মোবাইল কোর্টে নিলাম দেয়ার চুক্তি করেন ঐ অসাধু কর্মচারীরা। তবে বাশতলা বিজিবি ক্যাম্পের দ্বায়ীত্বর অফিসারদের ম্যানেজ করেই পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
স্থানীয় সুত্রে যানা গেছে ১৫ থেকে ২০ দিনে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪শত লেভারে যে পাথর উত্তোলন করে সেই পাথর সটিক ভাবে বিক্রি করা হলে পাথরের মুল্য ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা বিক্রি করা যেত। এখানের যাদের নিয়ন্ত্রনে পাথর উত্তোলন করা হয় সেই সিন্টিকেট পাথর কোকোর দল একত্রিত হয়ে নিলাম ডাকা হয় আর তাদের কাছে সেই জমানো পাথর বিক্রি করা হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। সম্প্রতি বিজিবির দেয়া এক নিলাম দেয়া হয়েছে উৎকুচের বিনিময়ে ১৫ থেকে ১৮ হাজার ফুট পাথর মাত্র ৪০ হাজার টাকায়। এখান থেকে বাহিরের কোন পাথর ব্যাবসায়ী নিলামে অংশগ্রহন করলে ভিবিন্ন ঝামেলায় পড়তে হয়। আরো জানা গেছে সীমান্ত ঘেষা বাশতলা হক নগর বিজিবি ক্যাম্পের পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্থাটি ব্যবহার করছে পাথর খেকোরা। এমনকি বিজিবি ক্যাম্পের আশ পাশ এলাকায় নির্বিচারে অবৈধ পথে পাথর উত্তোলন করা হলেও তাতে বিজিবি নিরব ভুমিকা পালন করে, দেখেও না দেখার ভান করছে বলেও জানা গেছে।
এলাকা ঘুরে খুজ নিয়ে জানা যায় পাথর উত্তোলন করছেন বাশতলা এলাকার হাছিব উদ্দিন, খুরশেদ আলম, মানিক মাষ্টার, আব্দুল আহাদ, মজিদ মিয়া, ফজলু মিয়া, জুয়েল, আব্দুল কাদির, হাছন আলী, ফোছন আলী, মনির উদ্দিন, সমছু মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মাসুদ মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, রাশিদ আলী,সফর আলী। এলাকার সুশিল সমাজের দাবী অবৈধ পন্তায় পাথর উত্তোন কারীরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নিলামের সুবিধা পাচ্ছে বিধায় প্রতিনিয়ত পাথর উত্তোলন করছে পাথর খেকোরা। অভিযোক্ত ব্যাক্তিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা অস্বিকার করে বলেন আমরা এখন আর এখানে নাই। আমরা কোন পাথর উত্তোলন করিনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাশতলা এলাকার এক ব্যাক্তি জানান, বর্তমানে তিনশত থেকে চারশত লেভার পাথর উত্তোলন করছে প্রতি রাতে এবং দিনে বিজিবিকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেই পাথর উত্তোলন করা হয়। এই প্রতিবেদককে বলেন আমার নামটা পত্রিকায় দিয়েননা ভাই বর্ডার এলাকায় থাকি কোন সময় কোন বিপদে পড়ব নিজেই জানবনা।
এব্যপারে জানতে চাইলে বাশতলা হক নগর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মো. মুনায়েম প্রতিবেদকের কাছে বক্তব্য দিতে নারাজ। তিনি অনুরুধ করেন সরেজমিনে গিয়ে বক্তব্য আনার জন্য।
বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান জসিম আহমদ চৌধুরী রানা বলেন, বাশতলা হক নগর ভারতের সীমান্ত বর্তী এলাকা আমি বার বার মাসিক সমন্নয় সভায় পাথর উত্তোলনের ব্যাপারে আলোচনা করেছি। যারা গোপনে পাথর উত্তোলন করছে তাদেরকে নিষেদ করা হয়েছে। এখন আর পাথর উত্তোলন হয়না বাশতলা এলাকায়।
এব্যপারে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মহুয়া মমতাজ বলেন, বাশতলা এলাকার পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ রয়েছে যে বা যারা অবৈধ পন্তায় পাথর উত্তোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এব্যপারে দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীর প্রতীক বলেন, আমরা চাই বাশতলা এলাকাটি মহান মুক্তিযোদ্ধের ৫নং সেক্টরের সদর দপ্তরের এলাকা এই এলাকার সৌন্দয্য রক্ষা করার জন্য আমরা যা যা দরকার তাই করব। এই এলাকার সৌন্দয্য রক্ষা করার জন্য জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের দায়ীত্বে রয়েছে জেলা প্রশাসক মহোদ্বয় এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধের দায়ীত্বে রয়েছেন উপজেলা প্রশাসন আমাদের দাবী প্রশাসনের প্রতি যে বা যারা এই এলাকার পাথর উত্তোলন করে এলাকার সৌন্দয্য নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd