সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০১৮
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: প্রকৃতিকন্যা খাত জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টের পাথর লোট কোন ভাবেই থামছে না। দিন-রাতসমান তালে চলছে পাথর লোটের মহোৎসব। আঙ্গুল ফলে কলাগাছ হচ্ছে সামছা পাটি।এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় বিজিবি বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ওসীমান্তরক্ষী বাহিনী নিরব ভূমিকা পালন করছে।সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়- স্থানীয় একটি পাথর খেকু চক্র সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ওবিজিবি’র সাথে আতাত করে ভারতের ডাউকি নদী হতে পানির ¯্রােতে নেমে আসানুড়িপাথর স্তুপ হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের পিয়াইন নদীর উৎসমূখে জমাট বেধে আছে।সিলেটের জাফলংয়ের স্বচ্ছ পানির, সারী-সারী পাহাড়, ঝর্ণার মনোরম দৃশ্য দেখতেপ্রতিদিন হাজার হাজার দেশি-বিদেশী পর্যটকরা সমাগত হয়। পাথর খেকু চক্রের একটিবাহিনী দীর্ঘদিন হতে স্থানীয় বিজিবি’র সহায়তায় জিরো পয়েন্টের সৌন্দর্য্যবিনষ্ট করে পাথর লোট অভ্যাহত রাখে। কোয়ারী এলাকায় সাধারনত খনিজ সম্পদ আহরনেরঅনুমতি থাকলেও সীমান্ত রেখার সন্নিকট হতে ১৫০গজ দূরত্বে হতে খনিজ সম্পদসংগ্রহ, আহরন, উত্তোলন সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ হতে অপারসৌন্দর্য্যরে লীলা ভূমি জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট হতে ৫শত গজের মধ্যে পাথর উত্তোলন,সংগ্রহ, আহরনের উপর নিষেদাজ্ঞা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় পাথর খেকু চক্রেরসদস্যরা জিরো পয়েন্টের পাথর সাবাড় করতে স্থানীয় বিজিবির সাথে প্রতি নৌকা ১৫শতটাকা হারে চুক্তি করে জিরো পয়েন্টের পাথর লোট করা হচ্ছে। কোন কোন সময় সীমান্ত রেখাপেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে পাথর লোট করে চক্রের সদস্যরা। এসময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীবাহিনী নৌকা ধরে নিয়ে গেলেও শ্রমিকরা প্রাণ পানিতে ঝাপ দিয়ে রক্ষাপায়। গত ২রা,৩রা মে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ১২টি নৌকা ধরে নেয়। স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরও কোন ভাবে থামছে না পাথর লোট। বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথেডাউকী ও পিয়াইন নদীতে পানি বৃদ্ধিপায় এই সুযোগে পাথর লোটকারী চক্রের সদস্যরাঅর্থের বিনিময়ে শত শত নৌকা দিয়ে জিরো পয়েন্টের সৌন্দর্য্য বিনষ্ট করে পাথর লোটচালায়। নৌকা হতে অর্থ কালেকশন করে চক্রের নিজস্ব গঠিত সামছা বাহিনী। বাহিনীরসদস্যরা টাকা সংগ্রহ করে তা বন্টন করে যার বড় অংশ যায় স্থানীয় বিজিবির হাতেএমনটাই অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। অনেক সময় তাদেরকে বাঁধা দিতে গেলে নানাহুমকী ধমকী দিয়ে যায় চক্রটি। একাধিকবার সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টিজানালে তারা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করে না। ব্যবসায়ীরা বিজিবির উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকেবিষয়টি অবহিত করা হলে লোক দেখানো অভিযান ছাড়া কিছুই করা হয় না। বরং দিন দিনজিরো পয়েন্টের পাথর লোটের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এলাকার সচেতন মহলের দাবীবাংলাদেশের প্রকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলা ভূমি প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ের হাজার হাজারপর্যটদের কথা চিন্তা করে পাথর লোট বন্দের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। এবিষয়ে জানতে সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ির ক্যাম্প কমান্ডারের সাথে একাধিক বারযোগাযোগ করা হলে অতিথি থাকার কারনে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে বিজিবিরগোয়েন্দা সদস্য শাহাবুলের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পকমান্ডরের সাথে আলাপ করতে বলেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd