সিলেট ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৪৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলা শহর, বিশ্ম।ভপুর, ছাতক ও তাহিরপুর উপেেজলা সহ আশপাশের উপজেলার গুলোর ওপর দিয়ে এ ঝড় বয়ে যায়। আকস্মিক ঝড়ের সময় কয়েক মিনিট শিলা বৃষ্টিও হয়। এদিকে, ঝড়ে সুনামগঞ্জ-ছাতকের ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইনে গাছগাছালি উপড়ে পড়ায় সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক বিকাল ৩ টা থেকেই অন্ধকারে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।’
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিলাবৃষ্টিে জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের বাঘমারা, ভাটিপাড়া ও দুর্গাপুর গ্রামের বেশ কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ধ্বসে পড়েছে ও এই গ্রামগুলোর পাশের হাওরের বোরো ধানেরও ক্ষতি হয়েছে। এ উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের জিনারপুর ও ভাদেরটেক গ্রামের ঘর-বাড়ি এবং গ্রামের পাশের বোরো জমি শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পলাশ ইউনিয়নের মুক্তিখলা ও মল্লিকপুরে কিছু ঘর বাড়ি এবং এই গ্রামগুলোর পাশের স্কীমের বোরো জমির ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জগন্নাথপুর উপজেলায় অন্তত ২০ টি কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্ েপড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।’ তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী বড়দল উওর ইউনিয়ন ও বাদাঘাট উওর ইউনিয়নের শতাধিক কাঁচাঘর বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে এবং কয়েক শতাধিক গাছ পালা ও বাঁশ ঝাড় ঝড়ের কবলে পড়ে লন্ডভন্ হয়ে গেছে।’
সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তারেক আহমদ শুক্রবার রাতে যুগান্তরকে জানান,‘ছাতক- সুনামগঞ্জের ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইনে এবং শহরের হাসননগর ও কালীবাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনে গাছগাছালি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ লাইন চালু করা যাচ্ছে না। কখন চালু হবে, এটাও বলা যাচ্ছে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিডি স্বপন কুমার সাহা শুক্রবার রাতে বলেন,‘ঝড়ে বিশ্বম্ভরপুরের বেশ কয়েকটি বোরো ফসলী হাওরের ফলজ ধান শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অন্যান্য এলাকার খবর এখনো জানা যায়নি। জেলার সকল উপজেলার কৃষি অফিসের সুপারভাইজারদের স্ব স্ব দায়িত্বপুর্ণ এলাকায় সরেজমিনে ক্ষয় ক্ষতি দেখে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd