টাকা নিয়ে যুবককে দিয়ে ‘ধর্ষণ’ সৎমেয়েকে, নিমতায় ধৃত মা

প্রকাশিত: ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০১৮

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : হোক না সৎ, তবু মা তো। তাই জোর করে বাপের বাড়িতে রাখতে চাওয়ায় কোনও সন্দেহ হয়নি বছর বাইশের তরুণীর। কিন্তু তার পরের ঘটনা মনে করলে এখনও শিউরে উঠছেন তিনি।

এক যুবককে দিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করানোর অভিযোগে সোমবার রাতে তরুণীর সৎমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক পলাতক। নিমতার বিশরপাড়ার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের খোঁজ চলছে। ঘটনায় হতবাক তরুণীর বাবা। ধৃতকে জেরা করে তাজ্জব পুলিশও। ধর্ষণের বিনিময়ে ওই যুবকের কাছ থেকে সে টাকা নিয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

বিশরপাড়ার নবনগর সাহাপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে থাকে অভিযুক্ত মহিলা। পেশায় নিরাপত্তারক্ষী ওই ব্যক্তি তার দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী। স্থানীয় সূত্রের খবর, বিয়ের পর থেকেই স্বামীর প্রথম পক্ষের মেয়ের সঙ্গে ঝামেলা লেগে থাকত সৎমায়ের।

তরুণীর বাবা জানান, তাঁর প্রথম পক্ষের মেয়েকে দেখতে পারত না সৎমা। বছরখানেক আগে মেয়ের বিয়ে দেন বাবা। তিনি জানান, মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে আনতে গেলে ঝামেলা করত সৎমা। ফলে মেয়ে বাপের বাড়ি আসতেন না। এলেও রাতে ফিরে যেতেন।

ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, দিন কয়েক আগে সৎমা শ্বশুরবাড়ি গিয়ে তাঁকে বাপের বাড়িতে আনতে চায়। রাজি হননি তিনি। কিন্তু সৎমা তাঁকে মিষ্টি কথায় রাজি করান। বাপের বাড়ি এলেও রাতে শ্বশুরবাড়ি ফিরতে চান তরুণী। কিন্তু আটকে দিয়ে সৎমা বলে, ‘‘রাতটা থেকে যা। বাবা বাড়ি ফিরলে দেখা হবে।’’ সে কথায় বিশ্বাস করে রাতে বাড়িতেই থেকে যান তিনি।

অভিযোগ, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ এক যুবককে তাঁর ঘরে ঢুকিয়ে দেয় সৎমা। ভয় পেয়ে তিনি ঘর থেকে বেরোতে যান। কিন্তু ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। ঘরে একা পেয়ে ওই যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে।

পরে ওই যুবক এবং সৎমা তাঁকে হুমকি দেয়, এই বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে তাঁর স্বামীকে খুন করে ফেলা হবে। পরের দিনও তাঁকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে দেওয়া হয়নি। ঘটনার দু’দিন পরে বাড়ি ফিরে স্বামীকে সব জানান ওই তরুণী। সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ নিমতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত সৎমাকে।

তরুণীর বাবা বলেন, ‘‘ঘটনার দিন আমি অনেক রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফিরি। মেয়েকে মনমরা দেখে মনে হয়েছিল ফের মায়ের সঙ্গে গোলমাল হয়েছে। ভাবতেই পারছি না, কোনও মা এমন কাজ করতে পারে!’

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন


আর্কাইভ

March 2018
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..