সিলেট ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:০৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০১৮
ক্রাইম ডেস্ক :: আজ থেকে প্রায় তিনদশক পূর্বে শাখুল হাদীস মাওলানা আব্দুল্লাহ-কে (র.) হেমু থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। তখন তিনি ছিলেন হেমু দারুল উলুম মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস। তখন হরিপুরবাজারে গিয়ে তিনি বাড়ি করেন, প্রতিষ্টা করেন হরিপুরবাজার দারুল হাদীস মাদ্রাসা। মরহুম মাওলানা আব্দুল্লাহ হরিপুকে নিজবাড়ি ও হেমু মাদ্রাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার মূলে সবচেয়ে বেশী কাজ করেছিল হেমু মাজরটুলার সাবেক মেম্বার পদপ্রার্থী ছানা উল্লাহ ছানাইয়ের গোত্রীয় লোকজন। তাই এখনো সানাই ও তার লোকজন মরহুর মাওলানা আব্দুল্লাহ প্রতিষ্টিত হরিপুরবাজার দারুল হাদীস মাদ্রাসার ঘোর বিরোধী। ছানা উল্লাহ ছানাইয়ের গভীর সখ্যতা জৈন্তাপুর ইউপি চেয়ারম্যান খুনী এখলাছের সাথে। পাশপাশি ছানাই -এর প্রধান কাজ পুলিশের দালালী চাঁদাবাজি ও।আইনী তদবীর। হরিপুর মাদ্রাসর ছাত্র শিক্ষকদের দাওয়াত দিয়ে উপজেলার আমবাড়িতে নিয়ে হতাহত করার মূল পরিকল্পনা করেন ইউপি চেয়ারম্যান এখলাছ ও হেম মাজটুলের ছানাই। পরিকল্পনা মোতাবেক তাদের নিয়ে হামলার মাধ্যমে খুন করা হয় মাদ্রাসার তাকমীলের শিক্ষার্থী হাফেজ মুজ্জম্মিলকে। এই হত্যাকান্ডের মূল আসামী চেয়ারম্যান এখলাছ এখন হেমু মাজরটুলের ছানাউল্লাহ ছানাইয়ের আশ্রয় ও তত্বাবধানে রয়েছে। পুলিশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে খুনী চেয়ারম্যান এখলাছকে রক্ষা করে চলেছে ছানাউল্লাহ ছানাই। তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের পাশপাশি প্রধান আসামী চেয়ারম্যান এখলাচের সন্ধ্যান পাওয়া যাবে। ছানাউল্লাহ ছানাই (৩০) জৈন্তাপুর উপজেলার হেমু মাজরটুলের রাশেদ আলীর পুত্র।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার আমবাড়িতে জলসায় ডেকে নিয়ে উপজেলার হরিপুরবাজার দারুল হাদীস মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষককে ডেকে নিয়ে খুন করা হয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মুজ্জম্মিলকে। আহত করা হয় অর্ধশত ছাত্র শিক্ষককে। সূত্র-সিলেট নিউজ ক্লাব
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd