জানা গেছে, উপজেলার বারহাল গ্রামের আবদুল আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বাবলু সুদের পাওনা আট হাজার টাকার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদাঘাট বাজার থেকে মোটরসাইকেলসহ শাহিনকে ধরে নিয়ে নিজ বাড়িতে আটকে রাখে। এরপর তাকে নানা কায়দায় নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে শাহিনের মৃত্যু হলে বাবলু ও তার সহযোগীরা মুখে বিষ ঢেলে চিকিৎসার জন্য রাতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়। রাত ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শাহিনের মা ছালেমা বেগম শুক্রবার রাতে বলেন, ‘বাবলু আমার ছেলেকে বাড়িতে টাকার জন্য আটকে রেখেছে- এ খবর পেয়ে বাবলুর বাড়িতে গিয়ে তার ও তার লোকজনের হাতেপায়ে ধরে কান্নাকাটি করি। এরপরও তারা আমার ছেলেকে ছাড়েনি। এমনকি আমাকে ছেলের সঙ্গে দেখাও করতে দেয়নি। বাড়ির সামনের একটি দোকানে দিনভর বসিয়ে রেখে বিদায় করে দেয়।’ তিনি বলেন, ‘বাবলু ও তার সহযোগীরা মিলে আমার ছেলেকে বাড়িতে আটকে রেখে মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বাবলু শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, অভিযোগ মিথ্যা। তাকে মারপিট করা হয়নি। জামিনদার হয়ে অন্য লোকের কাছ থেকে আট হাজার টাকা নিয়ে শাহিনকে দিয়েছিলাম। টাকার জন্য শাহিনকে তাগদা দিয়েছি মাত্র।
মোটরসাইকেল ফেলে যাওয়ার পর আমি সেটি আমার বাড়িতে এনে রাখি। সে কিভাবে মারা গেছে জানি না।
তাহিরপুর থানার ওসি বলেন, বাবলুর বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকার ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, বাবলু শুধু শাহিনকেই নয়, এলাকার বহু লোককে চড়া সুদে টাকা দিয়ে তা আদায় করার জন্য বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে। কারও কারও জমিজমাও লিখে নিয়েছে। বাবলু ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।