প্রবাসীর জমি দখলের ষড়যন্ত্রে থানা ওসির সহযোগীতা

প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০১৭

Manual1 Ad Code

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: আদালতের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রবাসীর জায়গা দখলের ষড়যন্ত্রে কমলগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে সহযোগিতা, জঙ্গি বানানোসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে উৎকোচ গ্রহন ও চাঁদাদাবীর অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার বেলা ১২ টায় কমলগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির শমশেরনগরস্থ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কমলগঞ্জ পৌর এলাকার চন্ডিপুর গ্রামের বয়োবৃদ্ধ হাবিবুন নাহার মজনু বিবি এই অভিযোগ করেন। তবে থানার ওসি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Manual3 Ad Code

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মজনু বিবির স্বামী সিরাজ উদ্দিন, ছেলে জালাল উদ্দিন, চমন উদ্দিন আজাদ এবং ভাই মোশাহিদ খান ও মছব্বির খান আমেরিকাতে বসবাস করার সুবাদে আমার ছেলে ও স্বামীর নিকট থেকে জমির মূল্য বাবদ বায়নামা দলিলে ব্যাংকিং মাধ্যমে মোশাহিদ খান ও মছব্বির খান নিজেদের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় কয়েক লক্ষ টাকা নেন। আমার পিতা ও স্বামী ১৯৯৮ সালে আলেপুর মৌজার ৪১৩ নম্বর দাগের জায়গা ক্রয় করে সমান অংশে মালিক হন। পিতার মৃত্যুর পর শরীক ভাইদের সাথে যার যার অংশমতে ঐ ভুমিতে মালিক স্বত্ত¡বান ও দখলদার থাকাবস্থায় অন্যান্যদের সাথে বাটোয়ারা মুলে ২০০৫ সালে ওই দাগের ১৬ শতক জায়গা ভাইদের জ্ঞাতসারে ছেলে জালাল উদ্দিন এর নিকট বিক্রি করেন।

পরবর্তীতে জালাল উদ্দিন ওই জায়গায় মাটি ভরাট করে বাঁশের বেড়াযুক্ত ঘর নির্মান করে বিদ্যুৎ সংযোগ করেন। কিছুদিন পর কমলগঞ্জ পৌরসভা হতে নকশা অনুমোদন ও ঘর নির্মানের অনুমতি এনে প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়। তখন মোশাহিদ খান জমি দখলের অসৎ উদ্দেশ্যে কমলগঞ্জ থানার ওসি বদরুল হাসানকে প্রভাবিত করে ঘরের নির্মান কাজে বাঁধা প্রদান করেন। এ ঘটনায় জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মোশাহিদ খান, মছব্বির খান, মোস্তফা খান, আলমাছ মিয়া, কমলগঞ্জ থানার ওসি ও এসআই আল মামুনকে বিবাদী করে সহকারী জজ আদালত, মৌলভীবাজার এ স্বত্ত¡ মামলা দায়ের করেন। মামলায় সকল বিবাদীর বিরুদ্ধে কেন অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারী করা হইবে না মর্মে কারন দর্শাতে ২০ দিনের মধ্যে নির্দেশ প্রদান করা হয়।

Manual2 Ad Code

এদিকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঘরের নির্মান কাজ শুরু হলে ওসি বদরুল হাসান, এসআই মাহবুবসহ কতেক ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে গালিগালাজ করে ৩ জন নির্মান শ্রমিককে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ওই দিন সন্ধ্যায় আমি অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী থাকার খবর জানার পরও ওসি বদরুল হাসান বসতঘরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে নির্মান কাজ করতে এবং শ্রমিকদের ছাড়তে ১০ লাখ টাকা দাবী করলে তিন লাখ টাকায় ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে আমার ছেলে জালাল উদ্দিনকে জঙ্গি বানিয়ে জেলে আটক রাখার ভয় দেখিয়ে ওসি বদরুল হাসান দুই লক্ষ টাকা এবং ধাপে ধাপে ওসি প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

এ ব্যাপারে ১৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্তি আরজি দাখিল করা হলে আদালত ৬ বিবাদীর প্রতি আপত্তি দাখিল পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এরপরও গত ২৫ সেপ্টেম্বর ওসি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্মাণ কাজের স্থলে এসে গালিগালাজ করেন। ওসি আদালতের নির্দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আদালত অবমাননা করেন। ওসি বদরুল হাসান এর চাঁদা দাবী এবং উৎকোচ গ্রহনের প্রতিকার চেয়ে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার বরাবরেও আবেদন করি। মোশাহিদ খান ও কতিপয় ব্যক্তির চক্রান্তে ওসিকে প্রভাবিত করে আমি, আমার প্রবাসী ছেলে জালাল উদ্দিন ও আত্মীয়স্বনকে মিথ্যা হয়রানী মামলায় জড়ানো, নির্যাতন এবং জায়গা দখলের অপচেষ্টা করছেন। ওসি বদরুল হাসান ও মোশাহিদ খান এর ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা এবং তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ, পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

Manual4 Ad Code

এ প্রসঙ্গে কমলগঞ্জ থানার ওসি বদরুল হাসান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক। আদালতের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে নির্মানাধীন দোকান ঘর নিয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।

Manual5 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2017
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..