কমলগঞ্জে পুলিশের উপস্থিতিতে শামসুন্নাহারের ভূমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৭:৪৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯

কমলগঞ্জে পুলিশের উপস্থিতিতে শামসুন্নাহারের ভূমি দখলের অভিযোগ

Manual7 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : প্রতিপক্ষের দায়েরকৃত হয়রানীমূলক মামলায় আদালতে জামিন নিতে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতে ভূমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন এক মহিলা। বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে কমলগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির শমশেরনগরস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভূমি দখল ও মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেন কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর (রাধানগর) গ্রামের প্রয়াত সজ্জাদ মিয়ার স্ত্রী মোছা. শামসুন্নাহারসহ অন্যান্যরা।

Manual3 Ad Code

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রঘুনাথপুর (রাধানগর) গ্রামে নিজের প্রয়াত স্বামীর ভূমি নিয়ে প্রতিপক্ষ আব্দুল কুদ্দুছ এর ছেলে শাহাদৎ হোসেন এর সাথে বিরোধ চলছে। শাহাদাৎ হোসেন এলাকায় প্রভাবশালী থাকায় মৃত সজ্জাদ মিয়ার নামীয় প্রায় ২৩ শতক ভূমি জবর দখল করে মৎস্য খামার, ডেইরী ফার্ম স্থাপন করেন। এসব বিষয় নিয়ে শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদে দু’দফা সালিশ অনুষ্ঠিত হলেও শাহাদাৎ হোসেন বৈঠকের রায় না মেনে নানা অজুহাত তৈরি করে আসছেন।

Manual7 Ad Code

প্রতিপক্ষ জমি সংক্রান্ত বিরোধের অভিযোগ দেখিয়ে কমলগঞ্জ থানার শমশেরনগর ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের নানাভাবে প্রভাবিত করে কয়েকদিন যাবত তাদের ভয়ভীতি দেখানো হয় বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ওই মহিলা। তিনি বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি দুপুরে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহআলমসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে সরেজমিন তদন্তে গিয়ে বাড়ির মহিলাদের সাথে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে এসআই শাহ আলম কোন অভিযোগ ছাড়াই মোছা. কামসুন্নাহার এর দেবর ফরজান মিয়ার ছেলে মো. শামীমকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যান। পুলিশ ফাঁড়িতে আনার পর ঐদিন সন্ধ্যায় শাহাদাৎ হোসেন বাদী হয়ে ফিশারীতে জাল ফেলে দেড় লাখ টাকার মাছ চুরির মিথ্যা মামলায় শামসুন্নাহার ও ছেলের বউ শিরিনা বেগম সহ ৬ জনকে আসামী করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে মোছা. শামসুন্নাহার বলেন, শিরিনা বেগম ও শামীম মিয়া প্রতিপক্ষের মিথ্যা মামলা থেকে জামিন লাভ করতে গত ২১ জানুয়ারি মৌলভীবাজার আদালতে গেলে শমশেরনগর ফাঁড়ির এসআই শাহ আলম এর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে শাহাদাৎ হোসেন তার ছেলে ও ভাড়াটিয়া আলমাছ মিয়া গং দলবল নিয়ে আমাদের দখলীয় ভূমি জবরদখল করে নেন। প্রতিপক্ষরা আমাদের মালিকানাধীন ও দখলীয় ভূমি জবর দখল, পুলিশি ভূমিকা এবং অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার সুবিচার দাবি করছি।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহাদৎ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সংবাদ সম্মেলনে উত্তাপিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সাজানো। অভিযোগকারীদের সাথে জমি বিনিময় করে মাছের খামার করা হয়েছে প্রায় ১৪ বছর পূর্বে। অভিযোগকারীদের জমির দাগ খতিয়ানের কিছুটা ত্রুটির কারণে বিনিময় সংক্রান্ত জমি রেজিস্ট্রেশন করা যায়নি। এ সুযোগে তারা এখন জমির মালিকানা দাবি করছে। তাছাড়া পুলিশি উপস্থিতিতে কোন জমি দখল করা হয়নি বলেও তিনি জানান।

এ ব্যাপারে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহ আলম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে কোন সময়েই যাইনি। আমার উপর আনীত অভিযোগ সঠিক নয়।

Manual2 Ad Code

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, তাদের উভয়পক্ষের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে শামীমদের পক্ষ বেড়া উপড়ে ফেলে। এই ঘটনা তদন্তে গেলে শামীম অশালীন আচরণ করে। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে শাহাদাৎ হোসেন এর মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়।

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..