সিলেট ২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:১৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা হোসেনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের বিদেশ গমনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম কয়েকদিন ধরে আবজাল দম্পতির খোঁজে সম্ভাব্য সব জায়গায় অভিযান চালিয়েও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এই আবজাল দম্পতির দেশ ছেড়ে যাওয়ার জনশ্রুতির কথা জানতে পেরেছে দুদক। তাই তাদের বিদেশে যাওয়া–আসার তথ্য চেয়ে ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে দুদক।
গত ৬ জানুয়ারি আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর চিঠি দেয়ে দুদক। ১০ জানুয়ারি আবজালকে দুদকে ডেকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রুবিনা খানমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৭ জানুয়ারি দুদকে হাজির থাকতে বলা হলেও তিনি সময় চেয়ে আবেদন করেন। ২১ জানুয়ারি দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোক, অর্থাৎ হস্তান্তর বা লেনদেন বন্ধ এবং ব্যাংক হিসাবগুলোর লেনদেন জব্দ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত।
আবজাল হোসেনের বাড়ি ফরিদপুরে। ১৯৯২ সালে তৃতীয় বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর আর পড়াশোনা করেননি। ১৯৯৫ সালে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সুপারিশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঁচটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন প্রকল্পে অফিস সহকারী পদে অস্থায়ীভাবে যোগ দেন তিনি। ২০০০ সালে প্রকল্পটি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হলে তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে অফিস সহকারী হিসেবে যোগ দেন।
আবজাল হোসেনের স্ত্রী রুবিনা খানম একই প্রকল্পে স্টেনোগ্রাফার হিসেবে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে যোগ দেন ১৯৯৮ সালে। ২০০০ সালে স্বেচ্ছায় অবসরে গিয়ে রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে ব্যবসা শুরু করেন। মূলত স্বামী-স্ত্রী মিলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একচেটিয়া ব্যবসা করার জন্য তাঁরা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব কর্মকর্তা আবজাল হোসেন ও ১৪ জানুয়ারি সহকারি পরিচালক ডা. আনিসুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আনিসুর রহমান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত নন বলে জানালেও ফেঁসে যান হিসাব কর্মকর্তা আবজাল হোসেন। দুর্নীতির দায়ে গত ১৩ জানুয়ারি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd