সিলেট ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেন্টাল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদারের জামাতা রাজন কর্মকারের (৩৯) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে বলে তার স্বজনরা দাবি করেছেন।
শনিবার (১৭ মার্চ) রাতে রাজধানীর ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের একটি বাসা থেকে রাজনকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজন কর্মকার বিএসএমএমইউ ডেন্টাল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তার স্ত্রী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম বলেন, আমরা ঘটনা শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত মন্ত্রীর পরিবার অথবা নিহতের পরিবার থেকে কেউ অভিযোগ করেনি। আমাদের একটি টিম স্কয়ার হাসপাতালে আছে। তাদের সঙ্গে নিহতের পরিবারের কথা হয়েছে। তারা আমাদের টিমের কাছে একটা অভিযোগ জানাবে বলে শুনেছি।
ওসি আরও বলেন, আমরা জেনেছি গত রাতে স্কয়ার হাসপাতালে রাজনকে ভর্তি করা হয়। রাজন ইন্দিরা রোডের ৪৭ নম্বর বাসায় থাকতেন।
নিহতের মামা সুজন কর্মকার বলেন, প্রথমে নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্বাভাবিক মৃত্যু ধরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু নন-ডায়াবেটিস (ডায়াবেটিস নেই এমন) একজন লোকের এমন মৃত্যৃ মেনে নেয়া যায় না। আমরা ময়নাতদন্ত চাই।
রাজনের সহকর্মী বিএসএমএমইউয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুক বলেন, রাজন হত্যার বিচার চাই। আমার জানা মতে, রাজনের কোনো শারীরিক অসুস্থ্যতা ছিল না। আমরা জেনেছি, আগে থেকেই তার পারিবারিক কলহ ছিল। আমরা মরদেহের ময়নাতদন্ত চাই।
নিহতের বন্ধু খুলনা সদর হাসপাতালের কনসালট্যান্ট নিতিশ কৃষ্ণ দাশ বলেন, মন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন ময়নাতদন্ত করা হয়। তিনি সম্মত হয়েছেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শেষে রাত ১২টায় বাসায় ফেরেন রাজন। রাত সাড়ে ৩টায় নিহতের মাকে ফোন করে বলা হয়েছে, আপনার ছেলে আজ রাতে মারা যাবে। রাতেই স্কয়ারে নিলে চিকিৎসক রাজন কর্মকারকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছে পরিবার।
স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বক্তব্য
রাত ৩টা ৪৫ মিনিটে রাজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ডা. সজীব সে সময় ডিউটিতে ছিলেন। তার বরাতে আজ বিকেল ৪টায় ডা. আসাদ বলেন, মৃত অবস্থায় বডি নিয়ে আসা হয়। মরদেহ দেখে মনে হয়নি অস্বাভাবিক মৃত্যু। তাই পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি। পরিবারকে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, রাজন কর্মকার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অষ্টম ব্যাচের (বিডিএস) ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের এখলাসপুর। তার বাবার নাম সুনীল কর্মকার।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd