বাসিয়া নদীর নিয়মিত ইফতার : পঁচা-বাসি খাবার

প্রকাশিত: ১০:১১ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০১৮

বাসিয়া নদীর নিয়মিত ইফতার : পঁচা-বাসি খাবার
মো: আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ :: আমাদের মতো প্রতিদিন ইফতার করে বাসিয়া। তবে বাসিয়ার পেটে জুটে পঁচা-বাসি চানা, চপ, পিয়াজুসহ বিভিন্ন ইফতারী। এই বাসিয়া কোনো জীব বা জন্তু নয়। বাসিয়া একটা নদীর নাম। এটি বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খড়স্রোতা নদী।
নদীটি এখন বাজারের ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। নদীর দক্ষিণপাড়ে হোটেল গুলোর ফেলা বর্জ্য ও উত্তরপাড়ের কাঁচা বাজারের আবর্জনা পচে র্দূগন্ধ সৃষ্টি হয়েছে। দুর্গন্ধের কারণে বাসিয়া নদী ও ব্রীজের আশেপাশে যাওয়া যায় না। পাশাপাশি আবর্জনা থেকে সৃষ্ঠি হওয়া অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বাসিয়া নদীতে বর্জ্য ফেলার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেনা কেউ।
স্থানীয় সচেতন মহলরা বলছেন বিশ্বনাথে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অতি নিম্নমানের। যে কারণে প্রশাসনের নাকের ডগায় বাসিয়া নদীর ব্রীজের দুই পাশে, উপজেলা পরিষদের মূল ফটকের সামনে ও একটি বালিকা স্কুলের ফটকের সামনে নিয়মিত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা, সমন্বয় ও সচেতনতার অভাবে বিশ্বনাথে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কাজে আসছে না।
এদিকে নদীকে তার নব্যতা ফিরিয়ে দিতে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে প্রায় ১কোটি ৮০লাখ টাকা ব্যয়ে শুরু হওয়া নদীর খনন কাজ এখনোও অব্যাহত আছে। সেখানেও রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম আর দূর্নীতির অভিযোগ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট না থাকায় এমনটাই হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের সামনের বর্জ্যগুলো সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে নদীতে যারা বর্জ্য ফেলবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ময়লা আবর্জনা থেকে কবে মুক্তি পাবে বাসিয়া নদী আর শেষ পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে নদীর খনন কাজ সম্পন্ন হবে কি না প্রশ্ন এখন বিশ্বনাথবাসীর।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

June 2018
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

সর্বশেষ খবর

………………………..