সুনামগঞ্জে হাওরের বাঁধ ভেঙে ৩০০ একর জমি প্লাবিত

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০১৮

সুনামগঞ্জে হাওরের বাঁধ ভেঙে ৩০০ একর জমি প্লাবিত

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের বৈশাখী বাঁধের একটি অংশ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ভেঙে গেছে। এ কারণে প্রায় ৩০০ একর জমির পাকা ধান প্লাবিত হয়েছে। পাউবো এবং দিরাই উপজেলা প্রশাসনের দাবি বৈশাখীর বাঁধ ভাঙেনি। কেটে দেওয়া হয়েছে। এই হাওরে সকল ধানই কাটা হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তবে হাওরের কৃষকরা জানিয়েছেন এখানে এখনও কিছু জমি কাটার বাকি রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে চাপতির হাওরের বৈশাখী বাঁধের একটি অংশ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকছে। কালনী নদীর পানি ভরাট হয়ে টই-টুম্বুর থাকায় মুহূর্তের মধ্যেই চাপতির হাওরের একাংশ ডুবে গেছে। বৈশাখীর বাঁধের পাশের তাড়ল গ্রামের শামিম মিয়া জানান, চাপতির হাওরে ৪০০০ হেক্টরেরও বেশি জমি রয়েছে। বৈশাখীর বাঁধের ভেতরে চাতল থেকে সুমনের দোকান পর্যন্ত আরেকটি কম্পার্টমেন্টাল বাঁধ রয়েছে এবং ঐ বাঁধ অক্ষত থাকায় পুরো হাওর প্লাবিত হয়নি। হাওরের ৯০ ভাগেরও বেশি ধান কাটা হয়ে গেছে। কেজাউড়া ও নোয়াগাঁও গ্রামের পাশের বৈশাখীর বাঁধের একাংশ ভেঙেছে। হাওরের যে অংশ প্লাবিত হয়েছে সেই অংশে প্রায় ৩০০ একর জমিতে পাকা ধান ছিল। বাঁধের পার্শ্ববর্তী তাড়ল গ্রামের কৃষকদের মাড়াই করা কিছু ধানও হাওরে ছিল।

একই গ্রামের হুমায়ুন কবির বলেন,‘দিরাই উপজেলার জগদল ও তাড়ল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কৃষকের জমি রয়েছে চাপতির হাওরে। এসব জমিতে ২৮ জাতের ধান হয়। বেশির ভাগ জমির ধানের কাটা-মাড়াই শেষ। তাড়ল গ্রামের কৃষকদের মাড়াই করা কিছু ধান ও খড় ছিল হাওরে।’ তিনি জানান, নদী এবং হাওরের পানি সমান সমান হয়ে গেছে।

দিরাই উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদুল ইসলাম ও পাউবো’র দিরাই উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী দাবি করেছেন, সরেজমিনে বাঁধ দেখে মনে হয়েছে বাঁধ ভাঙেনি। কেটে দেওয়া হয়েছে। হাওরে কাটার বাকি কোন ধান ছিল না, কিছু কৃষকদের মাড়াই করা ধান ও খড় ছিল। সেগুলো তারা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার সাহাও একই কথা বলেছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

May 2018
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..