দুদক থেকে বেরিয়ে যা বললেন ডিআইজি মিজান

প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০১৮

দুদক থেকে বেরিয়ে যা বললেন ডিআইজি মিজান

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ডিআইজি মিজান দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন।

অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু করে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা সাড়ে ৭ ঘণ্টা পুলিশের উচ্চপদস্থ এই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তারা।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকালে সাংবাদিকদের পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমান বলেন, সাংবাদিক এক ভদ্র মহিলার সঙ্গে আমার কনভারসেশন হয়েছে, এজন্য আমি স্যরি। এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি বলব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমার বিরুদ্ধে ইনকোয়ারি আছে, সুতরাং উনারাই ভালো বলতে পারবেন, কতটুকু প্রমাণিত হয়েছে, কতটুকু প্রমাণিত হয়নি।ডিআইজি মিজান

ডিআইজি মিজান সাংবাদিকদের বলেন, দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। আমার ট্যাক্স ফাইলের বাইরে আমার কোনো সম্পদ নেই, বাকিটুকু আপনারা তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

আত্মীয়স্বজনদের নামে কোনো সম্পদ আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আবারও বলি যে যে জায়গায় সম্পদ আছে বা আমার আত্মীয়স্বজনের নামে যে সম্পদ আছে, তা আমার ট্যাক্স ফাইলে আছে।

জানা গেছে, দুদকের অনুসন্ধানে ডিআইজি মিজানের চাকরিজীবনে যাবতীয় আয়-ব্যয়, এনবিআরে দেয়া সম্পদের তথ্য, নারীঘটিত বিষয়ে অর্থ খরচের পেছনে টাকার উৎস, বিদেশে পরিবার-পরিজনের জন্য পাঠানো অর্থসহ পুরো তথ্য বের করে আনার চেষ্টা করছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

সূত্র জানায়, ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চপদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে নানা উপায়ে শত কোটি টাকার মালিক হন বলে দুদকে অভিযোগ আসে।

এই অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করে দুদক।

চাকরিজীবনে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা উপায়ে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার নামে-বেনামে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে। একাধিক ব্যাংক হিসাবে রয়েছে বিপুল অর্থ ও ফিক্সড ডিপোজিট।

এমনকি দেশের বাইরে অর্থপাচারেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ডিআইজি মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এ বছরের জানুয়ারিতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।

দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ ওঠে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনেরও অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রমাণ পায় পুলিশের তদন্ত কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। সর্বশেষ মিজানের বিরুদ্ধে এক সংবাদ পাঠিকা প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তুলেছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

May 2018
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..