সিলেট ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:০৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০১৮
জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া,সুনামগঞ্জ :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর,বিশ্বম্ভরপুর,ধর্মপাশা উপজেলার হাওরে কষ্টের ফলানো বোরো ধানে ধরেছে সোনালী রং। ঠিক এই সময়েই হাওরে দেখা দিয়েছে নতুন করে আতনক। জেলার বিভিন্ন হাওরে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-২৮ধানে ছত্রাকজনিত রোগ দেখা দিয়েছে প্রকট আকারে। ফলে হাওরে জমির পর জমিতে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্ত জমিতে কৃষকগন ধান গাছে হাজার হাজার টাকা খরছ করে ছত্রাক নাশক ব্যবহার করলেও কাজে আসছে না। ফলে হাজার হাজার কৃষক পরিবার উৎবেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় পাড় করছে। জানাযায়,জেলার আগাম জাতের ধান ও বেশী উৎপাদন হবে সেই হিসাবে হাওর পাড়ের কৃষকরা ব্রি-২৮ধানের চাষাবাদ করেছেন লাখ লাখ কৃষক পরিবার। এবার হাওরের প্রায় ৮০ভাগ জমিতেই এই জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এবার ভাল ফলন ও হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে সম্পূর্ন হাওর থেকে ধান কেটে বাড়িতে নিতে পারবে কৃষক। কিন্তু হঠ্যাৎ করেই ব্লাষ্টার রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আতনকিত কৃষকরা জমিতে এই রোগ সারাতে ছত্রাকনাশক ন্যাটিভো বা ট্রুপার স্প্রে করছেন। তাতেও কোন সুফল পাচ্ছেন না।
জেলার প্রত্যন্ত এলাকার লোকজন উপজেলা সদরের কৃষি অফিসে আসতে গিয়ে ৩-৪শত টাকা পরিবহন খরচ হচ্ছে। কীটনাশক কিন্তে হচ্ছে কয়েক হাজার টাকা। এই রোগ সারাতে টাকা আর শ্রম দেওয়ার ফলেও কৃষকরা নিজেরা কোন সমাধান না পাওয়া দিশেহারা হয়ে এখন নিজেরাই রোগীক্রান্ত হয়ে পড়ছে ক্ষতির আশংকায়। আর কীটনাশক ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দিগুন দাম নিচ্ছে কীটনাশকের।
ঐসব কীটনাশক বিক্রেতাদের কোন লাই¯েœস নাই। উপজেলা অফিসকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে মেনেজ করেই চলছে। জেলার তাহিরপুর উপজেলার,শনি হাওরের একাংশ,আঙ্গারউলি,মাটিয়ান,মধ্যনগড় থানার শালদিয়া,বোয়ালা,কাইল্যানি,বাইনছাপড়াসহ বিশ্বম্ভরপুর,ধর্মপাশার বিভিন্ন হাওরে ব্রি ২৮ধানে এই রোগ দেখা দিয়েছে। সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন কার্য্যালয় সূত্রে জানাযায়,জেলার আবাদ জমির পরিমান ২লাখ ৭৬হাজার ৪শত ৪৭হেক্টর। এবার ২লাখ,২১হাজার ৭৫০হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। আর বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্র ১২লাখ ১৯হাজার ৪১৪মেট্রিকটন ধান। যার মূল্য ২হাজার ৯২৪কোটি ৬৭লাখ ৩৬হাজার টাকা। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে,তাহিরপুরে,বিশ্বম্ভরপর,ধর্মপাশায় এ তিনটি উপজেলায় ১২০হেক্টর জমিতে ব্লাষ্টার রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু হাওরের কৃষকদের দাবী আরো অনেক বেশী।
এই রোগের ব্রি-২৮ধানে দেখা গেছে ধানের শীর্ষ বের হবার পরেই র্শীষ হলুদ রং ধারন করে সাদা হয়ে যায়। শীর্ষের নীচের অংশের গিটের ভেতর কালো রং ধারন করে। ব্লাষ্টার আক্রান্ত শীর্ষে ধান হয় না। সব ধানই সাদা রং ধারন করেই ছিটা হয়ে যায়। ধান গাছে এই রোগে একটা পর্যায়ে চলে আসলে ছত্রাকনাশক ছিটালেও এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পায় না। আবহাওয়া বিরুপ থাকলে এ রোগ আরো বিস্তার লাভ করবে বেশী। আরো জানাযায়,গত ২০বছরের ভিতরে এমন সমস্যা সামনে এসে দাড়াঁ নি হাওরের কৃষকগন জানাযায়। এই রোগে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আঙ্গারউলি হাওরেই প্রায় ১হাজার হেক্টরের বেশী জমিতে ব্রি-২৮ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। সম্পূর্ন ধানেই ব্লাষ্টার রোগ দেখা দিয়েছে। এই হাওরে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষকগন ধান চাষ করেছেন। হাওর পাড়ের কৃষকগন জানান,এবার ধানের ফলন ভাল হলেই কি হবে এখন নতুন করে রোগ সৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু কোন সমাধান পাচ্ছি না। যে স্বপ্ন আর আশা করে এবারও ঋন করে হাওরে চাষাবাদ করেছি সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে এবারও লাভের বদলে ক্ষতির শিকার হব। আমাদের সব অর্জন ম্লান করে দিছে। তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম জানান,এ উপজেলায় হাওরে ব্রি-২৮ধানে ব্লাষ্টার রোগ দেখা দিয়েছে। সর্বাতœক চেষ্টা করছি এই রোগটি যাতে ধানের ক্ষতি করতে না পারে। কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এপর্যন্ত ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫-৬হেক্টর। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান,হাওরে এখন ব্রি-২৮ধানে রোগ দেখা দিয়েছে।
এই সময়টা হল ধান কাটার সময় এখনেই এই অবস্থা হলে কৃষকরা বাচঁবে কি করে। এই বিষয়টি খুবেই গুরুত্বের সাথে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া খুবেই প্রয়োজন।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার সাহা জানান,জেলা বিভিন্ন সুনামগঞ্জের ধান পাকার সময় ৩টি উপজেলায় ১২০হেক্টরের অধিক জমিতে ব্রি-২৮ধানে রোগ,আতকিèত কৃষক
জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া,সুনামগঞ্জ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর,বিশ্বম্ভরপুর,ধর্মপাশা উপজেলার হাওরে কষ্টের ফলানো বোরো ধানে ধরেছে সোনালী রং। ঠিক এই সময়েই হাওরে দেখা দিয়েছে নতুন করে আতনক। জেলার বিভিন্ন হাওরে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-২৮ধানে ছত্রাকজনিত রোগ দেখা দিয়েছে প্রকট আকারে। ফলে হাওরে জমির পর জমিতে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্ত জমিতে কৃষকগন ধান গাছে হাজার হাজার টাকা খরছ করে ছত্রাক নাশক ব্যবহার করলেও কাজে আসছে না। ফলে হাজার হাজার কৃষক পরিবার উৎবেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় পাড় করছে। জানাযায়,জেলার আগাম জাতের ধান ও বেশী উৎপাদন হবে সেই হিসাবে হাওর পাড়ের কৃষকরা ব্রি-২৮ধানের চাষাবাদ করেছেন লাখ লাখ কৃষক পরিবার।
এবার হাওরের প্রায় ৮০ভাগ জমিতেই এই জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এবার ভাল ফলন ও হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে সম্পূর্ন হাওর থেকে ধান কেটে বাড়িতে নিতে পারবে কৃষক। কিন্তু হঠ্যাৎ করেই ব্লাষ্টার রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আতনকিত কৃষকরা জমিতে এই রোগ সারাতে ছত্রাকনাশক ন্যাটিভো বা ট্রুপার স্প্রে করছেন। তাতেও কোন সুফল পাচ্ছেন না। জেলার প্রত্যন্ত এলাকার লোকজন উপজেলা সদরের কৃষি অফিসে আসতে গিয়ে ৩-৪শত টাকা পরিবহন খরচ হচ্ছে। কীটনাশক কিন্তে হচ্ছে কয়েক হাজার টাকা। এই রোগ সারাতে টাকা আর শ্রম দেওয়ার ফলেও কৃষকরা নিজেরা কোন সমাধান না পাওয়া দিশেহারা হয়ে এখন নিজেরাই রোগীক্রান্ত হয়ে পড়ছে ক্ষতির আশংকায়। আর কীটনাশক ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দিগুন দাম নিচ্ছে কীটনাশকের। ঐসব কীটনাশক বিক্রেতাদের কোন লাই¯েœস নাই। উপজেলা অফিসকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে মেনেজ করেই চলছে। জেলার তাহিরপুর উপজেলার,শনি হাওরের একাংশ,আঙ্গারউলি,মাটিয়ান,মধ্যনগড় থানার শালদিয়া,বোয়ালা,কাইল্যানি,বাইনছাপড়াসহ বিশ্বম্ভরপুর,ধর্মপাশার বিভিন্ন হাওরে ব্রি ২৮ধানে এই রোগ দেখা দিয়েছে। সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন কার্য্যালয় সূত্রে জানাযায়,জেলার আবাদ জমির পরিমান ২লাখ ৭৬হাজার ৪শত ৪৭হেক্টর। এবার ২লাখ,২১হাজার ৭৫০হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। আর বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্র ১২লাখ ১৯হাজার ৪১৪মেট্রিকটন ধান। যার মূল্য ২হাজার ৯২৪কোটি ৬৭লাখ ৩৬হাজার টাকা। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে,তাহিরপুরে,বিশ্বম্ভরপর,ধর্মপাশায় এ তিনটি উপজেলায় ১২০হেক্টর জমিতে ব্লাষ্টার রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু হাওরের কৃষকদের দাবী আরো অনেক বেশী।
এই রোগের ব্রি-২৮ধানে দেখা গেছে ধানের শীর্ষ বের হবার পরেই র্শীষ হলুদ রং ধারন করে সাদা হয়ে যায়। শীর্ষের নীচের অংশের গিটের ভেতর কালো রং ধারন করে। ব্লাষ্টার আক্রান্ত শীর্ষে ধান হয় না। সব ধানই সাদা রং ধারন করেই ছিটা হয়ে যায়। ধান গাছে এই রোগে একটা পর্যায়ে চলে আসলে ছত্রাকনাশক ছিটালেও এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পায় না। আবহাওয়া বিরুপ থাকলে এ রোগ আরো বিস্তার লাভ করবে বেশী। আরো জানাযায়,গত ২০বছরের ভিতরে এমন সমস্যা সামনে এসে দাড়াঁ নি হাওরের কৃষকগন জানাযায়। এই রোগে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আঙ্গারউলি হাওরেই প্রায় ১হাজার হেক্টরের বেশী জমিতে ব্রি-২৮ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। সম্পূর্ন ধানেই ব্লাষ্টার রোগ দেখা দিয়েছে। এই হাওরে তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষকগন ধান চাষ করেছেন। হাওর পাড়ের কৃষকগন জানান,এবার ধানের ফলন ভাল হলেই কি হবে এখন নতুন করে রোগ সৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু কোন সমাধান পাচ্ছি না। যে স্বপ্ন আর আশা করে এবারও ঋন করে হাওরে চাষাবাদ করেছি সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে এবারও লাভের বদলে ক্ষতির শিকার হব। আমাদের সব অর্জন ম্লান করে দিছে। তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম জানান,এ উপজেলায় হাওরে ব্রি-২৮ধানে ব্লাষ্টার রোগ দেখা দিয়েছে। সর্বাতœক চেষ্টা করছি এই রোগটি যাতে ধানের ক্ষতি করতে না পারে। কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এপর্যন্ত ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫-৬হেক্টর। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান,হাওরে এখন ব্রি-২৮ধানে রোগ দেখা দিয়েছে। এই সময়টা হল ধান কাটার সময় এখনেই এই অবস্থা হলে কৃষকরা বাচঁবে কি করে। এই বিষয়টি খুবেই গুরুত্বের সাথে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া খুবেই প্রয়োজন।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার সাহা জানান,জেলা বিভিন্ন হাওরে ব্রি-২৮ধানের জমিতে ব্লাষ্টার এর প্রকো বেশী। জেলার ৩টি উপজেলায় প্রায় ১২০হেক্টর জমিতে এই রোগটি দেখা দিয়েছে। ছত্রাকনাশক ছিটালেও অনেক সময় কাজে আসছে না। জমিতে প্রয়োজনীয় পানি না থাকায় এই রোগ দেখা দিয়েছে। তারপর এই বিষয়টি সমাধানের জন্য সবাই চেষ্টা করছি। প্রচুর বৃষ্টিপাত হলে ব্লাষ্টারের প্রেকোপ কমে আসবে।
জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া সুনামগঞ্জ তারিখ-০৯.০৪.২০১৮ইং মোবাইল-০১৭১৪-৬৭৪৭৮১
হাওরে ব্রি-২৮ধানের জমিতে ব্লাষ্টার এর প্রকো বেশী। জেলার ৩টি উপজেলায় প্রায় ১২০হেক্টর জমিতে এই রোগটি দেখা দিয়েছে। ছত্রাকনাশক ছিটালেও অনেক সময় কাজে আসছে না। জমিতে প্রয়োজনীয় পানি না থাকায় এই রোগ দেখা দিয়েছে। তারপর এই বিষয়টি সমাধানের জন্য সবাই চেষ্টা করছি। প্রচুর বৃষ্টিপাত হলে ব্লাষ্টারের প্রেকোপ কমে আসবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd