এমপি রতন সহ সেই হামলা ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের কারন দর্শাণোর নোটিশ

প্রকাশিত: ২:১১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০১৮

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলমগীর কবিরের অফিসে গত ২৭ মার্চ এমপি রতন বলয়ের নেতাকর্মীদের দ্বারা সেই হামলা ভাংচুর , জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দেয়াল থেকে টেনে ছিড়ে ভাংচুর করাকে কেন্দ্র করে জেলা আ’লীগ নেতৃবৃন্ধ এমনকি সুনামগঞ্জ-১ নির্বাচনী এলাকার আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিব্রত ও ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন।’
এ নিয়ে জেলা আ’লীগ’র পক্ষ্য থেকে দলীয় শৃংখলা বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে দ্রুত সময়ে মধ্যে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এমপি রতন সহ ওই ঘটনায় জড়িতদের কারন দর্শাণোর নোটিশ প্রেরণ করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’ এসব ঘটনার পর জেলা আ’লীগের এক জরুরী সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে শনিবার রাতে জেলা আ’লীগের একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।’
দলীয় নেতাকর্মীদের সুত্রে জানা গেছে, ধর্মপাশা জনতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ সংলগ্ন একটি ক্যান্টিন নির্মাণ করাকে কেন্দ্র স্বাধীনতা দিবনের অনুষ্ঠান থেকে ডেকে নিয়ে এসে ২৬ মার্চ প্রকাশ্যে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি লাঞ্চিত করেন ও হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক/ ছাত্র/ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকগণ এমপির রতনের অসদাচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে পরদিন এমপি বলয়ের নেতাকর্মীরা ফের সংগঠিত হয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি আলমগীর কবিরের উপজেলা সদরের অফিসে ডুকে টিভি ফ্রিজ আসবাবপত্র ভাংচুর ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দেয়াল থেকে টেনে ছিড়ে ভাংচুর করে।’ এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে ধর্মপাশা পুলিশ মামলাও নেয়নি। ওই ঘটনা ধামাচাঁপা দিতে ২৮ মার্চ রাতে একদল দুবৃওদের দ্বারা এমপি রতন অনুসারী এক নেতার অফিস ভাংচুর করিয়ে এ ঘটনায় দায় আলমগী কবীর ও দলের অপরাংশের নেতাকর্মীদের ওপর দায়ভার চাপানোর অপচেষ্টা করেন। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগও শুক্রবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করেছে। এদিকে, ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগও আজ রোববার এই ইস্যুতে সুনামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করবে বলে দলের দায়িত্বশীল এক নেতা জানিয়েছেন।’
ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলমগীর কবির বলেন,‘২৭ মার্চে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপির নির্দেশে তার অনুসারীগণ আমার অফিস ভাংচুর, বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিড়ে ভাংচুরের ঘটনার বিষয়ে আমি কোন মিথ্যা কথা বলিনি। আমার কাছে ঘটনার ভিডিও ফুটেজও আছে। থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নেননি জানিয়ে ওই নেতা আরো বলেন এ ঘটনার জন্য বিচার চাই আমি ও দলীয় নেতাকর্মীরা।’
অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের শুক্রবারের সভায় জাতির জনকের ছবি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবার কথা বলা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ-১ আসনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ও জেলা আ”লীগ নেতা বিনয় ভূষণ তালুকদার বলেন,‘একজন রাজনৈতিক নেতার অফিস ভাংচুর এবং বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের দৃষ্টতা ছাড়া আর কিছুই নয় বিষয়টি কোনভাবেই কাম্য নয়।’
সুনামগঞ্জ জেলা আ’লীগের এক দায়িত্বশীল নেতা শনিবার রাতে বলেন , ধর্মপাশা ঘটনা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারন সম্পাদক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকেও জানানো হয়েছে , উনারা বলেছেন দায়িদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশী পয়োজেনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করতে।’
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন শনিবার রাতে বলেন,‘ধর্মপাশায় আলমগীর কবীরের অফিস ভাংচুরের সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুরের অভিযোগ ওঠায় জেলা আওয়ামী লীগের সকলেই ব্যথিত হয়েছেন। কে বা কারা ছবি ভাংচুর করেছে তদন্ত সাপেক্ষে বের করে ব্যবস্থা নেয়া এমনকি ঘটনার ইন্দন দাতা ও জড়িতদের প্রথমে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করে ৭ দিনের ভেতর জবাব চাওয়া হবে। পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির সকল সদস্যকে শীঘ্রই চিঠি দিয়ে ওই সিদ্ধান্ত জানিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।’

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..