সিলেট ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : রাস্তার পাশে বিলবোর্ডে বড় করে কাকের ছবি। পাশেই লেখা ‘দাড় কাউয়ামুক্ত মোহাম্মপুর থানা আওয়ামী লীগ চাই’। এ কেমন প্রতিবাদ বা বিজ্ঞাপন? কারা, কেন এই বিলবোর্ড করেছে- এমন প্রশ্ন সবার মাঝে। এসব প্রশ্নের সদুত্তোর পাওয়া না গেলেও ইতোমধ্যে এই ব্যতিক্রমী বিলবোর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ এলাকার বিক্রমপুর মিষ্টি দোকানের সামনে ৩০ ফুটেরও অধিক দৈর্ঘ্যের ওই বিলবোর্ড দেখা যায়।
জানা গেছে, সম্প্রতি দুই দফা ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত ২৬টি থানা, ৪৬টি ওয়ার্ড ও ৯টি ইউনিয়নের কমিটি অনুমোদন দেন সভাপতি ও সম্পাদক।
প্রথমবার কমিটির অনুমোদনের পর নানা অভিযোগ উঠলে সেটি স্থগিত করে সুরাহার জন্য তদন্ত কমিটি করে দেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু উত্থাপিত অভিযোগের সুরাহা না করেই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে পাশ কাটিয়ে ফের কমিটির অনুমোদন করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক।
এ নিয়েও সংশ্লিষ্ট উত্তরের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সে সময়ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে এসব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দেন দলীয় সভাপতি। এরপরও কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি।
এরই মধ্যে ‘দাড় কাউয়ামুক্ত’ আওয়ামী লীগ চাওয়ার এ বিলবোর্ড ব্যাপক কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। বাংলা অভিধানে দাড় কাক শব্দটি প্রতারক, বিচ্ছিন্নতাবাদী, পক্ষপাতদুষ্ট, অভদ্র বুঝাতে ব্যবহার হয়।
এই বিলবোর্ডে কী বুঝানো হয়েছে- এ প্রশ্ন ছিল নেতাদের কাছে। এ বিলবোর্ড পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে অভিযোগে করা নেতাদের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ কিনা জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মিয়া পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে আমরাই জানতাম না। আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলোচনাও করা হয়নি।’
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের খান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘এগুলো কারা করছে, কেন করছে সবারই ভালো করে জানা।’ তবে এর বেশি তিনি কথা বলতে চাননি।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
এছাড়া এ ইউনিটের উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, যুগ্ম সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকেও মোবাইল ফোনে চেষ্টা করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd