সিলেট ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৫২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
ক্রাইম ডেস্ক : জিয়া পরিবারের বিদেশে ১২ বিলিয়ন ডলার পাচারের বিষয়টি আমলে নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘জিয়া পরিবার সৌদি আরব ও কাতারসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ১২ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। দুদককে অবশ্যই এ বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। কারণ এটা তাদের দায়িত্ব। ’
আজ রবিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না জেনে অন্ধকারে ঢিল ছুড়েননি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনেও আমি জিয়া পরিবারের সৌদি আরব ও কাতারসহ বিশ্বের ১২টি দেশে ১২ বিলিয়ন ডলার পাচার করার বিষয়ে তদন্ত করার জন্য দুদকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। শূণ্যের ওপর কোনো তদন্ত হয় না। আমরা যে অভিযোগ করেছি তার ভিত্তিতেই দুদক এ বিষয়ে তদন্ত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই বিএনপি নেতা তারেক রহমানের দুর্নীতির বিষয়ে বাংলাদেশে এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আদালতেও তার মানি লন্ডারিংয়ে বিচার হয়েছে। সিঙ্গাপুরের আদালতে খালেদা জিয়ার কনিষ্টপুত্র আরাফাত রহমান কোকো’র মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে বিচার হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের আদালতে জিয়া পরিবারের দুর্নীতি প্রমাণ হয়েছে। তাই দুদককে সৌদি আরব ও কাতারসহ বিশ্বের ১২টি দেশে ১২ বিলিয়ন ডলার পাচারের বিষয়টিও আমলে নিয়ে তদন্ত করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়া পরিবারের সম্পদ বিদেশে পাচারের বিষয়টি চাপা দিয়ে কি লাভ মির্জা ফখরুল সাহেব। বিএনপির দুর্নীতির দুর্গন্ধ আবারো ছড়িয়ে পড়েছে।
দেশে কোন গণতন্ত্র নেই বিএনপির এমন মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। কারণ তাদের সময়ের রক্তাক্ত গণতন্ত্রের ছবির কথা এখনও দেশের মানুষ ভুলে যায়নি।
তিনি বলেন, বিএনপি কারফিউ দিয়ে গণতন্ত্র শুরু করেছিল। তারপর তাদের মার্শাল ল গণতন্ত্র, গ্রেনেড ও পেট্রলবোমার গণতন্ত্রের কথাও দেশের মানুষের মনে রয়েছে। আজ আবার তারাই দেশে গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্র এলো-গেল বলে মায়াকান্না শুরু করেছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বিজয় দিবস মানে কিন্তু বিজয়ের মহানায়ককে মানে না তারা বিজয় দিবসের আদর্শে রয়েছে বলে আমরা মনে করি না। যারা স্বাধীনতা মানে কিন্তু স্বাধীনতার স্থপতিকে মানে না তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে পারে না।
তিনি বলেন, যারা দুর্ঘটনাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে তারাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে। আর যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করে তারা জাতির নিকৃষ্টতম অংশ।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি জামায়াত ও তাদের দোসরদের প্রতিহত করার জন্য তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd