সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১:১৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : রাজশাহীতে ২০১৫ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা শিক্ষা অফিসার রাখী চক্রবর্তীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকতার উল আলম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদক এর সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর উপসহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট রাজশাহী নগরে রাজপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রাজশাহী জেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলায় সংযুক্ত) আবুল কাশেম, সাবেক বোয়ালিয়া থানা শিক্ষা কর্মকর্তা রাখী চক্রবর্তী (বর্তমান গোদাগাড়ী) ও বোয়ালিয়া থানা শিক্ষা কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সোনিয়া রওশনকে আসামি করা হয়। মামলার করার দিনই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু রাখী চক্রবর্তী গা ঢাকা দেয়। এর আগে মামলা দায়ের দুইদিন পরেই থানা শিক্ষা কর্মকর্তা রাখী চক্রবর্তী উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। রোববার এ মামলার নির্ধারিত দিন ছিল।
এদিকে, চাকরি বিধি অনুযায়ী কোনো কর্মচারী গ্রেপ্তারের পর বা আত্মসমর্পনের পর জামিনে মুক্তি লাভ করলেও বরখাস্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। সেই হিসেবে এর আগেই রাখী চক্রবর্তীর সাময়িক বরখাস্ত করার কথা ছিল। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়ার দীর্ঘ প্রায় দেড় মাস পরে রাখী চক্রবর্তীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
অপরদিকে, দুদকের দায়ের করার আগেই গত এপ্রিল মাসে এ নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। তাতে বলা হয়েছে যে, রাখী চক্রবর্তী আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে কম মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে ১৭০ নম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে বৃত্তি ও এ প্লাস পাইয়ে দিয়েছেন। তিনি তদন্তকালে এমন কথাও বলেছেন তিনি কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ কাজ করেননি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মহানগর প্রাথমিক শিক্ষা সমপানী পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)। কিন্তু রাখী চক্রবর্তী তাকে বাদ দিয়েই এই ফলাফল প্রস্তুত করেছিলেন।
দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা অসৎ উদ্দেশে নিজেরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে ৪০ জন শিক্ষার্থীর খাতায় প্রাপ্ত নম্বরের চেয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে কম্পিউটারে ফলাফল প্রস্তুত করে বেশি নম্বর প্রদান করেছে। এর মাধ্যমে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে, খাতায় প্রাপ্ত বেশি নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
ইতিমধ্যেই আগের বৃত্তি পাওয়া ৪০ শিক্ষার্থীর বৃত্তি বাতিল করা হয়। তাদের স্থলে নতুন ৪০জনকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। আরও ২২ জনের সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বৃত্তি বাতিল করা এই ৪০ শিক্ষার্থীকে ্েট্রজারি চালানের মাধ্যমে বৃত্তি বাবদ উত্তোলিত অর্থ সংশ্লিষ্ট খাতে জমা করতে বলা হয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd