সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:২৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের চাতল গ্রামের বৃদ্ধ আবদুর রহিম। তার ছেলে আরখ আলী ‘গরু চুরি করেছে’ এমন অপবাদ দিয়ে তাকে (রহিম) চাতল বাজারে একটি চায়ের হোটেলে বেঁধে রাখা হয়। এমনকি তাকে মারধরও করা হয়েছে। খাদিমনগর ইউপির ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফয়জুল হকের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে আবদুর রহিমের ছেলে আরখ আলী ও মেয়ের জামাই মিলে শিবের বাজারে চারটি গরু বিক্রি করতে যান। সেখানে গরু বিক্রির সময় তারা রশিদ করেননি। ওই সময় তাদেরকে ‘গরুচোর’ সন্দেহে স্থানীয় কয়েকজন লোক আটক করে খাদিমনগর ইউপির ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফয়জুল হককে খবর দেন।
ফয়জুল হক মেম্বার আজ বিকেলে আবদুর রহিমকে ডেকে এনে চাতল বাজারে একটি চায়ের হোটেলে বেঁধে রাখেন। এসময় তাকে মারধরও করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মৌলাটিকর গ্রামের কাঠমিস্ত্রি সাজু মিয়া সিলেটভিউ২৪ডটকমকে বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি চাতল বাজারে ছিলাম। ফয়জুল মেম্বারসহ কয়েকজন আবদুর রহিমকে চায়ের হোটেলে বেঁধে রাখেন। তাকে মারধরও করা হয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে সাজু মিয়া বলেন, ‘আবদুর রহিমের ছেলে চোর বলে কখনোই শুনিনি।’
মৌলাটিকর গ্রামের অটোরিকশাচালক দিলওয়ার হোসেন বলেন, ‘আবদুর রহিমকে চাতল বাজারে একটি চায়ের হোটেলে বেঁধে রাখা অবস্থায় দেখেছি আমি। তার ছেলে নাকি গরু চুরি করেছে। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজনের কাছে শুনেছি, ফয়জুল মেম্বার আবদুর রহিমকে বেঁধে রাখেন।’
এ ব্যাপারে কথা বলতে ইউপি মেম্বার ফয়জুল হকের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল দেওয়া হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd