ফাতেমাকে গণধর্ষণের পর হত্যা

প্রকাশিত: ১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৯, ২০২০

ফাতেমাকে গণধর্ষণের পর হত্যা

Manual2 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার খারুয়ালী এলাকার ক্ষীরু নদী থেকে উদ্ধারকৃত তরুণীর লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। সে উপজেলার মামারিশপুর গ্রামের ওমর ফারুকের মেয়ে কানিজ ফাতেমা (১৭)। তাকে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

Manual4 Ad Code

এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

Manual2 Ad Code

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কানিজ ফাতেমা হালিমুন নেছা চৌধুরানী মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয়। ফল প্রকাশের ২ দিন পর নানীর বাড়িতে ভালুকা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রোববার ক্ষীরু নদী থেকে পুলিশ তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।

রোববার রাতে নিহতের বাবা ওমর ফারুক খবর পেয়ে থানায় এসে নিহতের পরনে কাপড়-চোপড় দেখে লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ৩ জুন রাত ৮টার দিকে কানিজ ফাতেমা ভালুকা বাজার হতে বাড়িতে যাচ্ছিল। পথে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জহির হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (২৩) ও আইয়ুব আলী শেখের ছেলে জামাল হোসেন (২৫) তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ক্ষীরু নদী সংলগ্ন আজিজুল হকের বাগানের ভিতর নিয়ে ৪-৫ জন মিলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ সময় কানিজ ফাতেমা চিৎকার শুরু করলে মনির ও জামালসহ অন্যরা বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে ফাতেমাকে হত্যা করে। পরে তার হাত-পা বেঁধে ক্ষীরু নদীতে ফেলে দেয়।

Manual2 Ad Code

ওই মামলায় ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খোরশেদ আলম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রঞ্জন কুমার ভৌমিক বুধবার রাতে কাঁঠালী গ্রাম থেকে মনির হোসেন ও মো. জামাল হোসেনকে গ্রেফতার করেন।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন জানান, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Manual5 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..