সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০১৯
এ বিষয়ে গত গত মাসের ৪ এপ্রিল হাকুর বাজার মসজিদ পরিচালনা কমিটি বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের হাকুর বাজার মসজিদের সামনে সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত জমিতে যাত্রাবা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল মুতলিব, বলেশ্বর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে ফরিদ উদ্দিন, মুহাম্মদ আলীর ছেলে মুজম্মিল আলী, লামাদুমকা গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে মুজিবুর রহমান মসজিদের সামনে অবৈধ দোকান ঘর নির্মাণ করে মসজিদের সৌন্দর্য নষ্ট করার পায়তারা করছে। যার ফলে মসজিদে আসা যাওয়ায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ যায়গায় অবৈধ দোকান ঘর সরিয়ে নিতে বার বার তাদের সাথে যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে কোন গুরুত্ব দেননি এমন অভিযোগে উল্লেখ করেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন- কেউ যদি সরকারি জমিতে অবৈধভাবে দোকান ঘর অথবা স্থাপনা নির্মাণ করে তাহলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পালের নির্দেশনায় ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা নিত্যানন্দ দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন- সরকারি খাস জমিতে অবৈধ ভাবে ঘর নির্মানের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে আমরা হাকুর বাজার গিয়ে তা বন্ধ করেছি এবং তাদেরকে ২ দিনের মধ্যে দোকান ঘর স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য বলেছি। এ ছাড়াও হাকুর বাজার বিভিন্ন স্থানে সরকারি জমি দখল করে যারা অবৈধ দোকান ঘর নির্মাণ করেছে তাদেরকে নোটিশের মাধ্যমে স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হবে। এরপরও যদি স্থাপনাগুলি দখলদাররা নিজে থেকে সরিয়ে না নেয় সে ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়ায় উচ্ছেদ করা হবে।
কিন্তু দীর্ঘ এক মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণকৃত দোকান কোঠা স্ব-স্ব স্থানে দন্ডায়মান রয়েছে। অবৈধ ভাবে সরকারি ও মসজিদের জমি দখল করে দোকান কোঠা নির্মাণ করার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে কেন অভিযোগ করা হলো সে কারণে দখলদার বাহিনী উল্টো হাকুর বাজার মসজিদ পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দকে হামলা, মামলার হুমকি দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন- হাকুর বাজার মসজিদের সামনে দোকান কোঠা নির্মাণ হচ্ছে মর্মে একটি অভিযোগ আমার কাছে দিয়েছিলেন মসজিদ পরিচালনা কমিটি। তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক তথ্যের আলোকে দোকান কোঠাগুলির নির্মাণ কাজ বন্ধ করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মানিকগঞ্জ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নিত্যান্দ দাসকে। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোকান কোঠা গুলির নির্মাণ কাজ বন্ধ করেন। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে দোকান কোঠা গুলি উচ্ছেদ করা হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd