জানা যায়, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সজল কুমার সিংহ ও মাওলানা আব্দুস সবুরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বরতদের উপর হামলা চালিয়ে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে হামলার শিকার হন ভোটগ্রহনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ১৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে অন্ত পক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, জাল ভোটকে কেন্দ্র করে ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ১৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিরঞ্জন পাল বাদী হয়ে ২৫জনকে আসামী করে জকিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি জানান, ২৫জনের একটি দল জোরপূর্বক কেন্দ্র দখল করে মালামাল ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ছোড়ে।
এদিকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার প্রায় সবকটি ভোট কেন্দ্রই ছিল ফাঁকা। দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিতে হয়নি ভোটারদের।