সিলেট ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:০৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০১৯
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : দক্ষিণ সুরমা উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বাটিয়ারচর গ্রামে প্রবাসীর বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা গভীর রাতে পরিবারের সবাইকে হাত বেধে এক রুমে জিম্মি করে ডাকাতি করে। এ সময় ডাকাতরা স্পেন প্রবাসী হেলাল আহমদের বাড়ি থাকা নগদ ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা, ১১ ভরী স্বর্ণালঙ্কার ও ২টি আই ফোন সহ ১০টি মোবাইল ফোন লুট করে নেয় ডাকাত দল।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দিবগত রাতে দাউদপুরের বাটিয়ারচর গ্রামের আব্দুল মছব্বিরের বাড়ীতে। জানা যায়, রাত ২টায় মুখোশ পরিহিত ৮/১০ জনের একটি ডাকাত দল মছব্বির এর বাড়ীর পেছনের গেইট দিয়ে বাড়ীর ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের সামনের কলাপসেপুল গেইটের ২টি তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ডাকাত দল। প্রথমে ডাকাত দল সৌদী প্রবাসী ইসলাম উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা বেগমের রুমের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতরা অস্ত্র মুখে জাহানারার হাত বেধে ফেলে এবং আলামিরার চাবি সহ বাড়ীর কোথায় কি আছে তা বলতে বাধ্য করে। ডাকাতদের কথার শব্দ শোনে তার মেয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সোনিয়া আক্তার ঘুম থেকে জেগে উঠে চিৎকার দিতে থাকে। চিৎকার বন্ধ করতে ডাকাতরা তাকে চর-থাপ্পর দেয় এবং মুখ বেধে ফেলে। এ সময় সোনিয়ার কানের স্বর্ণের দোল ডাকাতরা খুলে নেয়। পরে ডাকাতরা স্পেন প্রবাসী হেলাল আহমদের রুমের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে তাকে বেধে ফেলে। এ পর্যায়ে অন্য রুম থেকে তার পিতা আব্দুল মছব্বির ও ভাই বেলাল আহমদকে হেলালের রুমে এনে বন্দি করে রাখে। যাতে তারা চিৎকার করতে না পারে সে জন্য ডাকাতরা তাদেরকে কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখে। প্রায় ঘন্টাখানেক ডাকাতরা লুটপাট চালায়। যাওয়ার সময় ডাকাতরা পরিবারের সবাইকে এক রুমে রেখে বাহির থেকে বন্ধ করে চলে যায়।
ঘটনার সময় ডাকাতরা স্পেন প্রবাসীর মা রুফিয়া বেগমকে বন্দি না করে চেলে যাওয়ায় তিনি তাদের পুরাতন বাড়িতে গিয়ে ডাকাতির ঘটনা বলে পুরান বাড়ির সবাইকে সাথে নিয়ে এসে পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করেন।
জানা যায়, গত ১৪ ফেব্রæয়ারি স্পেন প্রবাসী হেলাল আহমদ বাড়ীতে আসেন। তার প্রচেষ্টায় তার ছোট ভাই বেলাল আহমদ গতকাল ১৫ মার্চ শুক্রবার তুর্কী যাওয়ার কথা ছিল।
এলাকাবাসী জানান, ডাকাত দল ডাকাতি শেষে মোটর সাইকেল যোগে দাউদপুর চৌধুরী বাজারের দিকে চলে যায়। তারা বলেন, মোগলাবাজার পাহাড়লাইন সড়কের বরইতল নামক স্থান এলাকা যেন ডাকাতির ভয়াবহ স্থান হিসেবে পরিচিত হয়েছে। এই স্থানে ডাকাতি হওয়ার পাশাপাশি ডাকাত দল গ্রামের বাড়ীতেও ডাকাতি করছে। আমরা মনে করি প্রশাসন এ ব্যাপারে স্বেচ্চার হলে ডাকাতি ঘটনা বন্ধ হবে।
খবর পেয়ে রাতেই মোগলাবাজার থানার টহল পুলিশ ও গতকাল শুক্রবার সকালে মোগলাবাজার থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচ.এম খলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে স্পেন প্রবাসী হেলাল আহমদ বলেন, আমরা প্রবাসে থাকি। নিজেদের জন্মভ‚মিতে এসে যদি জানমালের নিরাপত্তায় থাকতে না পারি তাহলে আর দেশে আসতে মন চাইবে না। ডাকাতির ঘটনায় মোগলাবাজার থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে মোগলাবাজার থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, ঘটনাটি রহস্যজনক। বেলাল আহমদ তুর্কী যাওয়ার জন্য তাদের এক আত্মীয়র কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা আনে। নগদ টাকার কথা যারা জানতো তারাই এ ঘটনা ঘটাতে পারে। ঘটনার সাথে জড়িত খোঁজে বের করে গ্রেফতার করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd