সিলেট ১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: সিলেটের জৈন্তাপুরে প্রশাসনের নিষেদাজ্ঞা অমান্য করে নতুন বরে বাড়ী ঘর নির্মানের নামে চলছে পাহাড় ও টিলা কর্তন করে পাথর উত্তোলন। পাহাড় ধষ, প্রাণহানি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংঙ্কা সচেতন মহলের।
সরেজমিন ঘুরে দেখাযায়- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গুয়াবাড়ীর সরকারী পাহাড় হতে দিন রাত ভূমি খেকু চক্রের সদস্যরা বাড়ী ঘর নির্মানের নামে পাহাড় কর্তন করে পাথর উত্তোলন করে যাচ্ছে৷ গত বৎসরে পার্বত চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়া ধষে প্রাণ হানির ঘটনায় সরকারী ভাবে পাহাড় কর্তনের উপরে নিষেদাজ্ঞা জারী করা হয়৷ জৈন্তাপুর উপজেলায় নিষেদাজ্ঞা অমান্য করে প্রভাবশালী ভূমিখেকু চক্র পাহাড় ও টিলা রকম ভূমি কর্তন করে বাড়ী ঘর নির্মানের নামে গুয়াবাড়ীর টিলা ও পাহাড় কেটে পাথর উত্তোলন অব্যাহৃত রেখেছে। বিগত ৪বৎসর হতে গুয়াবাড়ী এলাকার পাহাড় ও টিলা কর্তনের উপর সরকারী ভাবে নিষেদাজ্ঞা জারী করে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন৷ কিন্তু প্রভাবশালীরা প্রশাসনের নিষেদাজ্ঞা অমান্য করে পাহাড় ও টিলার বুক চিরে বাড়ীঘর নির্মান ও পাহাড়ের পাথর সংগ্রহ করছে। এছাড়া পাহাড়ের পদদেশে বসবাসকারী পরিবার গুলো জীবনের ঝুকি নিয়ে বসবাস করছে। টানা বৃষ্টির ফলে পাহাড় ধষে পড়ার আশংঙ্কা বিদ্যমান।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের লোকজন বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে রয়েছে মর্মে স্থানীয় বাসিন্ধাদের দাবী। ২০১৭ সনে স্থানীয় সংসদ সদস্য বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি সরজমিন পরিদর্শন করে গুয়াবাড়ী সহ জৈন্তাপুরের পাহাড় ও টিলা শ্রেনীর ভূমি হতে কোন রূপ পাথর উত্তোলন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেন। সংসদের নির্দেশের পরও প্রশাসনের তৎপরতায় কিছুদিন থেমে ছিল পাহাড় কর্তন পাথর উত্তোলনের কাজ।
সম্প্রতি এই চক্রটি বাড়ী ঘর নির্মানের নামে কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে পাহাড় কেটে বাড়ী ঘর নির্মান ও পাথর উত্তোলন করছে৷ বাড়ী নির্মানকারী জৈন্তাপুর প্লাজা মার্কেটের ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- জায়গা ক্রয় করে বাড়ী নির্মান করছেন৷ কিছু দিনের মধ্যে তিনি অফিসের সহায়তায় বরাদ্ধ নিবেন এ জন্য আগে দখল দেখাতে হবে৷ তবে পাহাড় কেটে বাড়ী নির্মানের তিনি প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তর হতে কোন প্রকার অনুমতি নেননি৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকই জানান উপজেলা ভূমি অফিসের এক কর্মচারীর ইতোপূর্বে সরকারী আদর্শগ্রামের ভূমি ক্রয় সহ এবং সরকারী ভূমি দখল করে পাহাড় কেটে বাড়ী নির্মান করেছেন৷
এবিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যাট মুনতাসির হাসান পলাশ নিকট যোগাযোগ করা হলে তিনি জরুরী প্রয়োজনে তিনি কর্মস্থলের বাহিরে অবস্থান করছেন বলে জানান। তিনি আরও বলেন কর্মস্থলে ফিরেই উপজেলার গুয়াবাড়ী এলাকা পরিদর্শন করে পাহাড় কর্তননের সাথে কিংবা ভূমি দখলের সাথে জড়ীত যাদের পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। তবে ভূমি অফিসের কেউ জড়িত থাকেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd