সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০১৯
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের বিল লুঙ্গা তুঙ্গা নামের একটি সরকারি জলমহাল ইজারা না নিয়ে অবৈধ ভাবে দখল করে গত দুই মাস ধরে সেখানে দিনে-রাতে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি লাখ লাখ টাকার সম্পদ লুণ্ঠন হচ্ছে। এটি ইজারা না হওয়ায় সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওই ইউনিয়নের দাতিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান ওই জলমহালে লোকজন নিয়োজিত করে তাঁর নির্দেশে অবাধে মাছ শিকার চলে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষজনদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়,বিল লুঙ্গা তুঙ্গা জলমহালটি উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অধীনে রয়েছে। এই জলমহালটির আয়তন ৬৫একর ৫৬শতক। ১৪২৫ বঙ্গাব্দে এই জলমহালটির এখনো ইজারা হয়নি। তিন-চার মাস আগে স্থানীয় লোকজন নিয়ে এই জলমহালটি দখলে যান বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান। গত দুই মাস ধরে সরকারি এই জলমহালটিতে তিনি লোকজন নিয়ে দিনে-রাতে লাখ লাখ টাকার মাছ শিকার করাচ্ছেন এবং সরকারি সম্পদ লুণ্ঠন করিয়ে নিজে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন,উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের দাতিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান এলাকায় খুবই প্রভাবশালী। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় এ নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষজন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। অবিলম্বে এই ব্যাপারে তর্দন্ত করে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মধ্যনগর থানা যুবলীগের সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন,বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান এলাকায় খুবই প্রভাবশালী। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিল লুঙ্গা তুঙ্গা জলমহালটি দখল করে সেখানে লোকজন নিয়োজিত করে তিনি লাখ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করে সেখানে থেকে মোটা অঙ্কের টাকা কামাই করছেন। প্রশাসনকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,জলমহালটি আমি দখল করিনি এবং আমার নির্দেশে সেখানে মাছও শিকার করা হচ্ছে না। আমার এক ভাতিজার সমিতির নামে এই জলমহালটি উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় ছয় বছর মেয়াদে ইজারা পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে স্কিম পাঠানো হয়েছিল। এটি অনুমোদন পেতে বেশ দেরী হয়েছে। যাতে এটিতে কেউ অবৈধভাবে মাছ না মারতে পারে সে জন্য আমার লোকজন জলমহালটি রক্ষণাবেক্ষণ করছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জলমহালটির খাজনা পরিশোধ করব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন,এটি জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনাধীন জলমহাল। বিল লুঙ্গা তুঙ্গা জলমহালটি অবৈধ ভাবে দখল ও সরকারি সম্পদ লুণ্ঠনের কাজে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd