কমলগঞ্জে স্ত্রীর দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার অবস্থান

প্রকাশিত: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০১৮

কমলগঞ্জে স্ত্রীর দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার অবস্থান

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: দীর্ঘদিনের প্রেম, এরপর শারিরিক সম্পর্ক, বিচার বৈঠকে সমাধান না পেয়ে স্ত্রীর দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে অবস্থান নেয় প্রেমিকা মৌলভীবাজার মহিলা কলেজের এক ছাত্রী প্রিয়াংকা দাস। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের বৃন্দাবনপুর গ্রামে। এই নিয়ে এলাকায় চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। এ ঘটনায় এলাকার কিছু কুচক্রী মহল ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে ফায়দা হাসিল করছে।

জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের নিজ বৃন্দাবনপুর গ্রামের নীলমনি দাসের ছেলে ওমান প্রবাসী সজল দাস এর সাথে বৈরাগীরচক (বৃন্দাবনপুর) গ্রামের প্রদীপ দাসের মেয়ে প্রিয়াংকা দাস (১৯) এর সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রিয়াংকা দাস এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমি যখন ক্লাস ৮ম শ্রেণীতে পড়ি তখন থেকে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্প্রতি ওমান থেকে সজল দেশে ফিরে এসে আমার সাথে দেখা করে। আমাকে চাপ সৃষ্টি করে অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমার সাথে দিনের পর দিন শারিরীক সর্ম্পক গড়ে তুলে এবং গোপনে মুঠোফোনে তা ধারন করে। এই ধারনকৃত দৃশ্য বিভিন্ন লোকজনকে দেখানো হয়। এতে আমি অসম্মান বোধ করলে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিচার প্রার্থনা করি।

এ ব্যাপারে পতনঊষার ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: কদ্দুছ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ক্রাইম সিলেটকে বলেন, তাদের প্রেম দীর্ঘ দিনের। বিষয়টি সমাধানের জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তওফিক আহমেদ বাবু ও সাবেক চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ চৌধুরীসহ এলাকার নেতৃবৃন্দ বৃন্দাবনপুরস্থ সুধীর দাসের বাড়ীতে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে প্রেমিক সজল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং মুঠোফোনে এই সংক্রান্ত আলামত পাওয়ায় চেয়ারম্যান মুঠোফোন জব্ধ করেন। পরবর্তীতে বৈঠকে তারিখ নির্ধারন করা হয়। ওই বৈঠকে উভয় পক্ষ উপস্থিত হলেও প্রেমিক সজল দাস উপস্থিত হয়নি। ছেলের পিতাকে বলা হয়েছে ছেলেকে ৪৮ ঘন্টা সময়ের ভিতরে উপস্থিত করার জন্য।

এ ব্যাপারে পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তওফিক আহমেদ বাবু ক্রাইম সিলেটকে বলেন, ছেলেটি বিষয়টি প্রথম পর্যায়ে অস্বীকার করলেও মুঠোফোনের আলামতে তা প্রমাণিত হয়। ২য় বৈঠকে ছেলে উপস্থিত না হওয়ায় এবং পক্ষরা বিষয়টি মানতে রাজি না হওয়ায় সমাধান হয়নি। এলাকার কিছু অতি উৎসাহী লোকেরা বিষয়টি নিয়ে হট্টগোল করছেন। তিনি আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

খবর পেয়ে সরজমিন রাত ৮টায় সজল দাসের বাড়ীতে প্রেমিকা প্রিয়াংকা দাসের সাথে আলাপচারিতায় সমুহ ঘটনার বিবরণ প্রদান করে এবং স্ত্রী দাবীতে অবস্থান নেন। তিনি আরও বলেন এ ঘর থেকে কেউ বের করার চেষ্টা করলে আমার লাশ বের হবে।

এ ব্যাপারে সজল দাসের পিতা নীলমনি দাস ক্রাইম সিলেটকে বলেন, এলাকার কিছু মানুষ জোর করে মেয়েটিকে আমার বাড়িতে এনে দেন। নীলমণি দাসের পুত্র সুবল দাস বলেন, আমার ভাই সজল দাস কয়েকদিন ধরে বাড়ীতে নেই। কোথায় গেছেন তা জানিনা। এই মেয়েটিকে জোর করে কিছু লোক দরজা ভেঙ্গে ঘরে তোলে দিয়ে যায়।এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আরিফুর রহমান জানান, এরকম ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ বলেনি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

October 2018
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..