সিলেট ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:২১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পাঁচ সন্তানের এক জননী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্বহত্যা করলেন। নিহতের নাম, রহিমা খাতুন। তিনি জেলার তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জঙ্গলবাড়ি গ্রামের হতদরিদ্র কয়লা শ্রমিক রেজ্জাক আলীর স্ত্রী।’
শুক্রবার ফজরের নামাজের পর স্বামী ও অপর তিন ছেলে মেয়ে নদীতে কয়লা কুঁড়ানোর জন্য বাড়ি থেকে চলে যাবার পরপরই ওই মহিলা বসতঘরের আড়ার সাথে গলায় দড়ি লাগিয়ে আত্বহত্যা করেন।’
নিহতের পারিবারীক সুত্র জানায়, উপজেলার কলাগাঁও গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে রহিমা খাতুনে সাথে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলবাড়ি গ্রামের মৃত বেলায়েত গাজীর ছেলে রেজ্জাক আলীর সাথে প্রায় ১৮ বছর পুর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ওই দম্পতির কুলজুড়ে ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে জন্ম নেয়।’
এদিকে গত দিন/ চারেক ধরেই রহিমা খাতুন মানসিক ভাবে কিছুটা হতাশাগ্রস্থ ছিলেন দাবি করে তার স্বামী রেজ্জাক আলী শুক্রবার সকালে জানান, আমি ও আমার অপর তিন ছেলে মেয়েকে ফজরের নামাজের পর রহিমা হাতের তৈরী পিঠা দিয়ে নাস্তা খেতে দেয়।’ নাস্তা খেয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী কলাগাঁও ছড়া নদীতে আমরা কয়লা কুঁড়ানোর জন্য চলে গেলে সকাল সাড়ে ৫টার দিকে আমার ছোট ছেলে শাকিল দৌড়ে গিয়ে তার মা ফাঁস লাগিয়েছে বলে জানায়।’ তিনি আরো বলন, সাথে সাথে বাড়ি এসে আড়া থেকে তাকে নামিয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করানোর এক পর্যায়ে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
নিহত রহিমার সহোদর বড়ভাই উপজেলার কলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল মিয়া বলেন, আমার বোনের বিয়ে হয়েছে প্রায় ১৮ বছর , এর ভেতর ভগ্নি পতির সাথে কোন দিন ঝগড়াঝাটি হতেও শুনিনি এখন কী কারনে সে আত্বহত্যা করল তা বুঝতে পারছিনা।
তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর শুক্রবার সকালে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছে, আত্বহত্যার কারন সম্পর্কে এখনো অবহিত হতে পারিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd