তানিয়াকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করায় মা-ছেলেকে খুন

প্রকাশিত: ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০১৮

তানিয়াকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করায় মা-ছেলেকে খুন

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : তানিয়াকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার কারণেই খুন হয়েছেন সিলেট নগরীর মিরাবাজারের খারপাড়ার রোকেয়া বেগম (৪০) ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম রোকন (১৭)।

তানিয়া আক্তার ও ইউসুফ খান মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)-এর বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিক।

সোমবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পিবিআই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিক জানান, তানিয়া সিলেটে হজরত শাহজালাল (র.)-এর মাজারে আসেন। এখানেই পরিচয় হয় মামুনের সাথে। তানিয়া-মামুনের দেখা হওয়ার পরেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেম থেকেই তানিয়া ও মামুনের বিয়ে হয়। তারপর তানিয়াকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করেন রোকেয়া বেগম।

এই ক্ষোভ থেকেই রোকেয়া বেগম ও তার ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তানিয়া। পরিকল্পনায় ছিলেন মামুন ও নাজমুলও। জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন রেজাউল করিম মল্লিক।

তিনি জানান, রোকেয়ার ছেলে নিহত রবিউল ইসলামও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেন তানিয়া।

তানিয়াকে গ্রেপ্তার করলেও তানিয়ার সাথে রোকেয়ার কিভাবে পরিচয় তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি বলে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন পুলিশ সুপার রেজাউল করিম। সেই সাথে তানিয়া ও নাজমুলের মধ্যে কি সম্পর্ক তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

পিবিআই’র সিলেট অঞ্চলের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আমরা এ মামলার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত না। এরপরও পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) বিশেষ নির্দেশে আমরা ছায়া তদন্ত করছি।

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিলেট নগরীর মিরাবাজারের খারপাড়ায় রোকেয়া বেগম ও তার ছেলে রবিউল ইসলাম রোকনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সাথে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রোকেয়ার ৫ বছরের মেয়ে রাইসাকে। তারপর সেই রাতেই সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন নিহত রোকেয়া বেগমের ভাই জাকির হোসেন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নগরীর বন্দরবাজার থেকে তানিয়ার কথিত স্বামী ইউসুফ খান মামুনকে গ্রেপ্তার করা হলে তার দেওয়া তথ্য মতে কুমিল্লার তিতাসের ঘোষকান্দি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তানিয়া আক্তারকে। এছাড়া একই মামলায় ৩ এপ্রিল নজমুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের মাধ্যমে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সূত্র-সিলেট টুডে

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..