ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পূর্ব বিরোধের জের ধরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছেন দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশিদ। হামলার ঘটনায় ব্যবসায়ী আমিনুল হক (৩০) গুরুতর আহত হয়েছেন। ব্যবসায়ী আমিনুলকে বাঁচাতে এগিয়ে এসে আরো দুইজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ পলাতক রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে তাঁকে আটকের চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের হাসপাতালের সামনের জায়গা নিয়ে চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী আমিনুলের পূর্ব বিরোধ ছিল। কিছুদিন আগে ব্যবসায়ী আমিনুলের জায়গার উপর দিয়ে রাস্তা তৈরী করেন চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশিদের পিতা মিজানুর রহমান। এনিয়ে গত রোববার উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশিদ সাত থেকে আট জনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাবসায়ী আমিনুল হকের উপর অতর্কিত হামলা চালান। হামলাকারীদের হাত থেকে আমিনুল হককে বাঁচাতে এগিয়ে এসে পাশ্ববর্তী দোকানের বাসেত আহমদ ও বাবুল মিয়া আহত হন। হামলায় গুরুতর আহত ব্যবসায়ী আমিনুল হককে উদ্ধার করে প্রথমে দোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্হানীয় জনতা বিষয়টি টেরপেয়ে তাদের দাওয়া করলে সবাই পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও চেয়ারম্যান মামুনকে মাছবাজারে লোকজন ধরে ফেলেন এবং তাকে গনধুলাই দেন।এসময় দোয়ারা বাজার সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আঃ খালেকের ছেলে বাবুল মিয়া জনতার কবল হতে তাঁকে রক্ষা করে প্রানে বাঁচান বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর থেকে সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশিদ পলাতক রয়েছেন। ব্যবসায়ীরা হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে কয়েকটি রড, গ্যাসের পাইপ ও চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশিদের জ্যাকেট জব্দ করে পুলিশকে দিয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশিদের মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টা করলেও তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা যায় নি।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি সুশীল রঞ্জন দাশ বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান দলবল নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।