সিলেট ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:১৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
রাশেদ আহমদ, জায়লং থেকে : গোয়াইনঘাটের জাফলং নয়াবস্থি (খান্দুবস্থি) এলাকায় চলছে পাথর উত্তোলনের মচ্ছব। প্রতিদিন অবৈধ বোমামেশিন বসিয়ে পাথর খেঁকো একটি চক্র এই মচ্ছবে মেতে উঠেছে। পাথর খেঁকোদের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তোলেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
জানা গেছে, খান্দুবস্থি এলাকায় চেয়ারম্যানের ভাই সামছুল আলম, জেলা পরিষদের মেম্বার শাহপরান, আলাউদ্দিন (ছাতকি আলাই), সেলিম জমিদার, সুমন (জামাই সুমনের) নেতৃত্বে এই পাথর খেঁকো চক্ররা প্রতিদিন লাখ, লাখ টাকা কামাই করার উদ্দেশ্যে অবৈধ বোমা মেশিন বসিয়ে পরিবেশ বিনষ্ট করছেন। রাতদিন অবিরাম বোমা মেশিন চালিয়ে পাথর উত্তোলন করে তারা । বোমা মেশিনের মধ্যে রয়েছে বড় বোমা মেশিন , বিলাই (ছোট) বোমা মেশিন প্রায় অর্ধশত। এসব বোমা মেশিন চালানোর সূযোগ করে দিচ্ছেন, গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। তারা প্রতি রাতে পাথর খেঁকোদের নিকট থেকে বড় বোমমেশিন হতে পঞ্চাশ হাজার টাকা ও ছোট বোমা মেশিন হতে হাজার হাজার টাকা চাঁদা হাতিয়ে নেন। এবং তারা তাদের অপকর্ম ঢাকতে প্রায় সময় দিনের বেলা জাফলং এলাকার বিভিন্ন পাথর উত্থোলনের স্থানে অভিযান চালিয়ে ভালো মানুষ সাজার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন ।
এ চাঁদার একটি অংশ প্রশাসনের কতিপয় অসাধু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছে দেন তারা। প্রশাসন নিজেদের চাকুরি বহাল রাখতে ও ভালো মানুষের মুখোঁশ পড়ে দিনের বেলা মাঝে মধ্যে অভিযান অব্যাহত রেখে রাতের আঁধারের পাথর খেঁকোদের সহীত গড়ে তোলেছেন সখ্যতা। পাশাপাশি স্থানীয় উপজেলার কতিপয় চাঁদাবাজ সংবাদকর্মীদেরও আন্ডারগ্রাউন্ডে সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রকাশ্যে এসকল অবৈধ বোমা মেশিন বসিয়ে অনায়াসে চাঁদা উত্তোলনের কাজ সাড়ছেন। রহস্যজনক হলেও সত্য যে, উল্লেখিত পাথর খেঁকোদের বিরুদ্ধে ওসির নিকট যদি কোন অভিযোগকারী অভিযোগ দিতেন তাহলে থানা পুলিশ উল্টো ওই অভিযোগকারীকে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন মামলা, মোকাদ্দমার হুমকি দিয়ে সড়িয়ে রাখতেন ।
এমনটি সত্যতা বেরিয়ে এসেছে অনূসন্ধ্যানি তদন্ত প্রতিবেদনে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাফলং এলাকার এক ব্যাবসায়ী জানান, তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে ওসি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন। এবং এরকম একজন লোককে বাড়ি থেকে গ্রেফতার দেখিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে চালান দিয়ে দেন। এরপর থেকে স্থানীয় এলাকার অনেকে মামলার ভয়ে পরিবেশ বিনষ্ট নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি নয়। তবে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করলে এসকল আলামত সহজেই বের হয়ে আসবে । দুহাতে টাকা বানানোর হিসাব-নিকাশও সহজে পাওয়া যাবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd