সিলেট ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০১৭
নির্ভরযোগ্য এক সূত্র জানায়, হোটেল আনন্দ ম্যানেজারের সহযোগীতায় দক্ষিন সুরমার থানার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তারা মোটা অংকের উৎকোছের বিনিময়ে প্রতিদিন চালিয়ে যাচ্ছে এসব কার্যকলাপ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, প্রত্যেকদিন হোটেলে অস্থানকারী, প্রত্যেক বোর্ডারের হোটেল রুম বুকিংয়ের সময় ছবি তোলার কথা থাকলেও উক্ত হোটেলে প্রায় সময় কোনো ছবি তোলা হয়না।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন কম বয়সের পতিতা ছাড়াও কম বয়সী স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে হোটেল আনন্দে আসতে দেখা যায়। তারা আবার এখানে এসে দু’চার ঘন্টা সময় কাটিয়ে চলে যায়।
অন্য আরেক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যার পরের কথা বলে শেষ করার মতো নয়। আমরা শুধুই দেখেই যাচ্ছি, আমাদের করার কিছুই নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পুলিশ এসে হোটেল থেকে বকরা নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এদিকে খবর নিয়ে জানা গেছে, দক্ষিন সুরমার অনেক আবাসিক হোটেলে নেই কোনো ক্যামেরা। ছবি না তোলার কারণে মাঝে মধ্যে এসব হোটেলে খুনের মতো ঘটনা ঘটলেও ঘাতক সনাক্ত না করার কারণে বিপাকে পড়তে হয় পুলিশের গোয়েন্দাদের।
সূত্র মতে, হোটেল আনন্দে অবস্থানকারী বেশীর ভাগই টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার ছিনতাইকারী, ভাসমান অপরাধীসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। এরই কারণে রাতের ট্রেনে বা বাসে আসা দূর-পাল্লার লোকজন হোটেলে অবস্থান নিলে বিভিন্ন ভাবে নাজেহাল হওয়ার অভিযোগ বিস্তর।
বেশ কিছুদিন আগে হোটেল আনন্দতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের অভিযানে ইয়াবাসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। প্রকৃত অর্থে হোটেলে নেই কোনো পুলিশের নিয়মিত তদারকি। যার কারণে চলছে এখানে নানান ধরণের অপরাধ কর্ম।
অনেকে বলেছেন, দক্ষিন সুরমার এসব অঞ্চলে অনেক ঘটনা ঘটলেও সাংবাদিক নামধারী কিছু দালালও পুলিশের অসাধু লোকদের যোগশাজসের কারণে খুনরে মতো ঘটনা ঘটলেও আলোর মুখ দেখেনা। নতুন ওসি আসার পর আরো বেড়ে গেছে দক্ষিন সুরমার অপরাধ কর্ম।
ধর্মপ্রাণ নাগরিকরা দক্ষিন সুরমার এসব হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-নজর কামনা করেছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd